অনলাইন প্রচারে জোর দিচ্ছে বিএনপি, গঠিত হচ্ছে ‘বিজিএন’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান অপপ্রচার মোকাবিলা ও নির্বাচনী প্রচারণা জোরদারে বিএনপি নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গ্রাসরুটস নেটওয়ার্ক (বিজিএন)’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তৃণমূল কাঠামোকে অনলাইনে আরও সক্রিয় করতে চায়। বিজিএনের মূল লক্ষ্য হবে অনলাইন প্রচার জোরদার করা, প্রতিপক্ষের প্রোপাগান্ডা প্রতিহত করা এবং ভোটারদের কাছে দ্রুত তথ্য পৌঁছে দেওয়া। ইতোমধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিজিএন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচার ও কুৎসা রটনার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। দলের অন্তত ১০টি জেলা থেকে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় ইতোমধ্যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি), মামলা ও সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। টুকু অভিযোগ করেন, এটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে প্রমাণের ভিত্তিতে এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত মামলা করবেন। উল্লেখ্য, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সম্প্রতি এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগের দিন ২৬ অক্টোবর গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫-এ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান অপপ্রচার মোকাবিলা ও নির্বাচনী প্রচারণা জোরদারে বিএনপি নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গ্রাসরুটস নেটওয়ার্ক (বিজিএন)’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তৃণমূল কাঠামোকে অনলাইনে আরও সক্রিয় করতে চায়। বিজিএনের মূল লক্ষ্য হবে অনলাইন প্রচার জোরদার করা, প্রতিপক্ষের প্রোপাগান্ডা প্রতিহত করা এবং ভোটারদের কাছে দ্রুত তথ্য পৌঁছে দেওয়া। ইতোমধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিজিএন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক অপপ্রচার ও কুৎসা রটনার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। দলের অন্তত ১০টি জেলা থেকে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় ইতোমধ্যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি), মামলা ও সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ২৭ অক্টোবর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। টুকু অভিযোগ করেন, এটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে প্রমাণের ভিত্তিতে এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত মামলা করবেন। উল্লেখ্য, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং সম্প্রতি এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগের দিন ২৬ অক্টোবর গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫-এ।

বিএনপির সহকারী অফিস সেক্রেটারি তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমরা অন্তত ১০টি জেলা থেকে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে দুটি ঘটনায় মামলা বা জিডি হয়েছে, আর অন্তত তিনজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।’

দলটির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করছেন, সামাজিক মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এমন অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে অপপ্রচার মোকাবিলা ও নির্বাচনী প্রচারণা আরও কার্যকর করতে বিএনপি এবার ডিজিটাল মাধ্যমকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

দলীয় নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, বিজিএনের মাধ্যমে বিএনপি তৃণমূল কাঠামোকে আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে চায়। একই সঙ্গে অনলাইন প্রচার জোরদার করা এবং প্রতিপক্ষের প্রোপাগান্ডা মোকাবিলা করাই এ নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য।

সূত্র জানায়, বিজিএন গঠনের প্রস্তাব ইতোমধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শিগগির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

বিজিএনের প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার নেতৃত্ব দেবেন ১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিকে। প্রতিটি কেন্দ্রীয় সদস্য ২০টি আসনের দায়িত্বে থাকবেন। মোট ৩০০ সংসদীয় আসনে দুজন করে ৬০০ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে, যারা তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি কাজ করবেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।

সূত্র জানায়, সম্ভাব্য অ্যাক্টিভিস্টদের সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী ইতোমধ্যে জমা পড়েছে এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলছে। প্ল্যাটফর্মটি নিয়মিত স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দেবে, যা দলের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় ব্যবহৃত হবে।

বিজিএন কমিটির সম্ভাব্য প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ঢাকা স্ট্রিমকে বলেন, ‘সময় এখন ডিজিটাল। প্রচলিত প্রচারণার পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারই জনগণের কাছে দ্রুত ও কার্যকরভাবে পৌঁছানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আমরা চাই, ভোটাররা খুব সহজে আমাদের চিনুক, আমাদের কাজ জানুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি দ্রুত ও বেশি পরিমাণে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে তারা সহজেই মিথ্যা ও অপপ্রচার চিহ্নিত করতে পারবেন। সাংবাদিক সমাজ এখন উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয়। আমরা তাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যাতে তারা যেমন আমাদের তথ্য প্রচারে সহায়ক হন, তেমনি তাদের মাধ্যমেও আমরা এলাকার সমস্যাগুলো ও কর্মীদের ত্রুটিগুলো জানতে পারি।’