স্ট্রিম প্রতিবেদক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয় নেতাকে সঙ্গী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক নেতারা সফরসঙ্গী হচ্ছেন—এই খবর প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এখন গ্রহণযোগ্যতায় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণে এমন কৌশল নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলের মতৈক্য আনাও কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আবার কেউ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মোকাবিলা করতেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গী করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। কারণ, নিকট অতীতে বিদেশ সফরে গিয়ে সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ার নজিরও রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে জুলাই সনদ, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়াসহ একাধিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এর আগে গত জুনে বিএনপির নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছিল। এ বৈঠককে একধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা বলেও মনে করা হয়। একইভাবে আপাত দৃষ্টিতে বিবদমান রাজনৈতিক দলের নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফর কি দ্বিতীয় রাজনৈতিক সমঝোতা?
এই ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
এই ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
পাশাপাশি আরও একটি কারণ থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মী রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরে গিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টরা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। এবার যেন সেটি মোকাবিলা করা যায়—রাজনৈতিক দলের নেতাদের সফরসঙ্গী করার এটিও একটি কারণ হতে পারে। এতে এখন যেটা হবে, সেখানে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাবেন।’
অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মনে করেন, অন্য দেশের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি আদায়ও হতে পারে দলীয় নেতাদের সফরসঙ্গী করার অন্যতম কারণ।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে ঐক্য ধরে রাখার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেও তা সম্ভব। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সফরসঙ্গী করে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সেখানে কূটনৈতিক কোনো বিষয়ে মতৈক্যে আসার বিষয়ও থাকতে পারে, অর্থাৎ কোনো কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে যেন বিভাজন না আসে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শিরোনামের উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। এ কারণে সফরটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যদিও অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলছেন, জাতিসংঘ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুর খুব একটা ইতিবাচক কোনো সমাধান আশা করা যাচ্ছে না।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনও একই কথা বলছেন। তাঁর মতে, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরাপত্তার (প্রটেকশন) স্বার্থে জাতিসংঘে তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গেছেন।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে রাশেদ খাঁন লিখেছেন, ‘সেখানে (নিউ ইয়র্ক) রাজনীতিকদের কোনো কাজ নেই। স্বাভাবিকভাবে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য ব্যানার নিয়ে নেমে গেছে। আওয়ামী লীগও আছে। যদি রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা না যেত, তাহলে কি বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আসতো?’
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের আগমন উপলক্ষে ইতিমেধ্যে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি–অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নিউইয়র্ক সময় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর জ্যাকসন হাইটসে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। তখন বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকাটিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যার পর জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় একই সময়ে সমাবেশ করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। দুই পক্ষই স্লোগান দিয়ে দিয়ে জ্যাকসন হাইটস এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। যদিও এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিউইয়র্কে আগমন ঘিরে জেএফকে বিমানবন্দরে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সরকারপ্রধানের সফরসঙ্গী করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মদ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু রাজনৈতিক দলের কাছেই ভবিষ্যতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে যুক্ত রাখতে চায় সরকার।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। এ ছাড়া, একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথাও রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের মাসেই অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন। ওই সফরে অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী করা হয়নি। তবে এবার তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও দলটির নেতা নকিবুর রহমান তারেক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তিনটি রাজনৈতিক দলের ছয় নেতাকে সঙ্গী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক নেতারা সফরসঙ্গী হচ্ছেন—এই খবর প্রকাশের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এখন গ্রহণযোগ্যতায় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণে এমন কৌশল নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলের মতৈক্য আনাও কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আবার কেউ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মোকাবিলা করতেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গী করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। কারণ, নিকট অতীতে বিদেশ সফরে গিয়ে সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ার নজিরও রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে জুলাই সনদ, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়াসহ একাধিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এর আগে গত জুনে বিএনপির নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছিল। এ বৈঠককে একধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা বলেও মনে করা হয়। একইভাবে আপাত দৃষ্টিতে বিবদমান রাজনৈতিক দলের নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফর কি দ্বিতীয় রাজনৈতিক সমঝোতা?
এই ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
এই ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
পাশাপাশি আরও একটি কারণ থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মী রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরে গিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টরা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। এবার যেন সেটি মোকাবিলা করা যায়—রাজনৈতিক দলের নেতাদের সফরসঙ্গী করার এটিও একটি কারণ হতে পারে। এতে এখন যেটা হবে, সেখানে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাবেন।’
অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মনে করেন, অন্য দেশের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি আদায়ও হতে পারে দলীয় নেতাদের সফরসঙ্গী করার অন্যতম কারণ।
তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে ঐক্য ধরে রাখার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেও তা সম্ভব। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সফরসঙ্গী করে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সেখানে কূটনৈতিক কোনো বিষয়ে মতৈক্যে আসার বিষয়ও থাকতে পারে, অর্থাৎ কোনো কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে যেন বিভাজন না আসে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরপর অন্তর্বর্তী সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল, সে জায়গায় এখন ঘাটতি ঘটেছে। এজন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়েছেন— প্রধানত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা রক্ষা করে চলার জন্য।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শিরোনামের উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। এ কারণে সফরটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যদিও অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলছেন, জাতিসংঘ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুর খুব একটা ইতিবাচক কোনো সমাধান আশা করা যাচ্ছে না।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনও একই কথা বলছেন। তাঁর মতে, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরাপত্তার (প্রটেকশন) স্বার্থে জাতিসংঘে তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গেছেন।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে রাশেদ খাঁন লিখেছেন, ‘সেখানে (নিউ ইয়র্ক) রাজনীতিকদের কোনো কাজ নেই। স্বাভাবিকভাবে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য ব্যানার নিয়ে নেমে গেছে। আওয়ামী লীগও আছে। যদি রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা না যেত, তাহলে কি বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আসতো?’
প্রসঙ্গত, মুহাম্মদ ইউনূসের আগমন উপলক্ষে ইতিমেধ্যে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি–অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নিউইয়র্ক সময় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর জ্যাকসন হাইটসে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। তখন বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকাটিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যার পর জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় একই সময়ে সমাবেশ করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। দুই পক্ষই স্লোগান দিয়ে দিয়ে জ্যাকসন হাইটস এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। যদিও এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিউইয়র্কে আগমন ঘিরে জেএফকে বিমানবন্দরে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সরকারপ্রধানের সফরসঙ্গী করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মদ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু রাজনৈতিক দলের কাছেই ভবিষ্যতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে যুক্ত রাখতে চায় সরকার।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। এ ছাড়া, একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথাও রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের মাসেই অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন। ওই সফরে অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী করা হয়নি। তবে এবার তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও দলটির নেতা নকিবুর রহমান তারেক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচনের তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন পেছানো হয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে কমিশন।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনেছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির নেতারা এই অভিযোগ করেন।
১১ ঘণ্টা আগেআসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সামনে রেখে একাধিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে, যারা নিজ নিজ মতাদর্শ ও শিক্ষার্থীদের জন্য নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া আলোচিত প্যানেলগুলোর ভিপি পদপ্রার
১৪ ঘণ্টা আগে