জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনে রদবদল অনেকটাই অবধারিত। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ২৯টি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে ১০ জনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
সংসদ নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক বদলি ও পদায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ মূলত দায়িত্ব। জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার সময়ই রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে ইসি। সেই হিসাবে এখন ডিসি হওয়া কর্মকর্তারাই মূলত নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৮ নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ জন এবং পরদিন রোববার ১৪ জনকে ডিসি হিসেবে বিভিন্ন জেলায় পদায়ন করে সরকার। এসব ডিসি বাছাইয়ে এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু নীতির কথা সামনে এসেছিল। এর মধ্যে অন্যতম গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে অনুষ্ঠিত তিনটি ত্রুটিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের এবার নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখা। পাশাপাশি যেসব কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীর মতো ভূমিকা পালন করেছেন, তাদেরকেও নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা। তবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ডিসিদের মধ্যে অন্তত সাতজনের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তাঁদের মধ্যে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়া আজাদ জাহানকে করা হয়েছে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক। তাঁর ওই স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের পাশাপাশি শেখ পরিবারের সদস্যদের একাধিক ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা কর্মকর্তা আফসানা বিলকিস হয়েছেন মাদারীপুরের ডিসি। আর উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েই টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শপথ পাঠ করা কর্মকর্তা নড়াইলের সাবেক ডিসি শারমিন আক্তার জাহানকে বদলি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এর বাইরে মাঠ প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকা ইকোনমিক ক্যাডারের তিন কর্মকর্তাকে ডিসি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মকর্তা যদি আগামী নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তবে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আর মাঠ প্রশাসনে অনভিজ্ঞদের ডিসি করার বিষয়টি ভবিষ্যতে জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলার কারণ হতে পারে।
আলোচনার কেন্দ্রে যেসব ডিসিরা
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার জন্য আলোচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম আজাদ জাহান। ভোলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তাকে গাজীপুরের ডিসি করা হয়েছে। আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এই কর্মকর্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি পঞ্চগড়ের সাবেক ডিসি জহুরুল ইসলামের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মীর মতো ‘জয় বাংলা–জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিচ্ছেন।
এ ছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহে তাঁর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, হরিণাকুণ্ডুর মামদারতলা গ্রামে তাঁর ১০০ বিঘার বেশি জমিতে মাছের ঘের রয়েছে। এই ঘেরের বেশির ভাগ জমি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লিজ নেওয়া। এ ছাড়া সরকারি এ কর্মকর্তার ড্রাগন বাগান আছে শত বিঘা জমিতে। এই এলাকায় লাইটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ তিনিই প্রথম চালু করেন। বাগানটি ভাইদের বলা হলেও পুরোটাই আজাদ জাহানের বলে জানান তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, ‘এসবের বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এর আগে তিনি ও তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে ভোল পাল্টেছে।’
গত ১৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিসকে মাদারীপুরের ডিসি হিসেবে পদায়ন করা হয়। ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পক্ষে এই কর্মকর্তার দেওয়া একাধিক দলীয় পোস্টের প্রমাণ এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। এতে দেখা যায়, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি আওয়ামী লীগের এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীসহ শেখ পরিবারের সদস্যদের ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন সময়ে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপসহ অনেকের ছবি।
এ ছাড়া নড়াইল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি করা হয়েছে বিসিএস ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহানকে। অথচ উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বেই শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান আওয়ামীপন্থী কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কাজ করার জন্য সমাধিকে সামনে রেখে শপথও নেন তাঁরা। এ ছাড়া নড়াইলের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক অনিয়ম এবং কয়েকজনকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা করায় অভিযোগে খবরের শিরোনাম হন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মিজ নাজমুন আরা সুলতানাকে পদায়ন করা হয়েছে মানিকগঞ্জের ডিসি হিসেবে। শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালের সামনে তাঁর একাধিক ছবি রয়েছে। এ ছাড়া স্ট্রিমের হাতে আসা তথ্যপ্রমাণে খাগড়াছড়ি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা দেখা গেছে।
ফেনী থেকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে সাইফুল ইসলামকে। আওয়ামী লীগের সময়ে অর্থ বিভাগ, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, একই জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। আবার ফেনীর জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পরপর এক আওয়ামী লীগ নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিও হন।
বাগেরহাটে ডিসির দায়িত্বে থাকা আহমেদ কামরুল হাসানকে পাঠানো হয়েছে নোয়াখালীতে। এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ বছর তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মাঠ প্রশাসনে কাজের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকলেও পরপর দুই জেলায় ডিসি হলেন তিনি।
সাবেক জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমানের সময়ের করা ডিসি ফিটলিস্ট থেকে বিসিএস ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনায় পদায়ন করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৮ সালে উপসচিব হন। ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে ছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে মামলা।
এর বাইরে মেহেরপুরের ডিসি হওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুত্ফুন নাহার ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুর রহমানকে পদায়ন করা হয়েছে ময়মনসিংহের ডিসি হিসেবে। ইকোনমিক ক্যাডারের সাবেক এ কর্মকর্তার মাঠ প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা না থাকলেও পেয়েছেন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানাও ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা। তাঁরও মাঠ প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা নেই। অথচ ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন মাঠ প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, অন্যদিকে যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা হওয়াও প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া স্ট্রিমকে বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা যে সরকারের আমলেই অপেশাদার আচরণ করুক না কেন, যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে মামলা হতে পারে।’ ডিসি হিসেবে এমন কর্মকর্তাদের কারা বাছাই করেছেন— এই প্রশ্নে তিনি বলেন, যেসব ইউএনও আগের নির্বাচনগুলোতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন, আগের সরকারের সময় যারা দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করেছেন, বাছাইয়ের আগে তাদের ক্ষেত্রে আরেকটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যখন সরকারি কর্মকর্তা, তখন রাজনৈতিক কর্মীর মতো আচরণ করতে পারেন না। কাজেই তাদের যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। এবার তারা যদি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পান, তাহলে সেই নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তারা যদি শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গেও কাজ করেন, তবুও একটা প্রশ্ন থেকে যাবে।’
তবে সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বিষয়টকে এত গুরুতর মনে করছেন না। তার ভাষ্য, ‘তখন এত দলবাজি হয়েছে যে জীবন বাঁচানোর জন্য অনেকে রাজনৈতিক তৎপরতা দেখাতে পারেন। যদিও আমি নিজে কখনোই এমনটি করিনি। আমি টুঙ্গিপাড়ায় যাইনি; ৩২ নম্বরেও যাইনি। কিন্তু সবাই তো আর আমার মতো হবে না। অনেক ভালো কর্মকর্তাও জগদ্দল পাথরের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শের চাপে পড়ে এদিক-সেদিক গেছেন।’
তিনি মনে করেন, নতুন ডিসিদের কিছুটা সময় নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। কাজেই সরকার নিশ্চয়ই কিছুটা খোঁজখবর নিয়েছে। এর আগে ডিসি নিয়োগে ধাক্কা খেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থনৈতিক লেনদেন ও শাস্তি পাওয়া লোকজন পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এত ধাক্কা খেয়ে সরকার এখন না-জেনে না-বুঝে কাউকে নিয়োগ দেয়নি বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্তই ছিল মাঠে ছয় বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু এবার তাদের কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমি জানি না। এই শর্ত পূরণ ব্যতিরেকে নিয়োগ দিলে অসুবিধা হবে।’
একই বিষয়ে ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘তাদের মাধ্যমে ভালো নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পেলে তাদের দিয়ে ভালো নির্বাচন হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে বারবার ফোন দিয়েও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এহছানুল হককে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এ বিষয়ে স্ট্রিমকে বলেন, ‘আপনাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ থাকলে পাঠিয়ে দিন। আমাদের কাছে থাকা অ্যাভেইলেবল ইনফরমেশন (সহজলভ্য তথ্য) আমরা ব্যবহার করি। একেবারে মাইক্রো পর্যায়ে গিয়ে খবর নিয়ে আসা— এটা তো সম্ভব হয় না। আমাদের কাছে যে তথ্য থাকে, সেটা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়। তথ্যে ভুল থাকলে রেকটিফাই (সংশোধন) করার সুযোগ আমাদের আছে। আমাদের কাছে কম তথ্য আছে, অন্য কোথাও বেশি থাকলে সেটা আমরা রেকটিফাই করার চেষ্টা করি।’