leadT1ad

রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় অনিয়ম: শাস্তি পেলেন দুই প্রকৌশলী

গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৯
পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা ‘রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের’ কেনাকাটায় অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী প্রমাণ হওয়ায় একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও একজনকে নিম্নবেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) জানিয়েছে, ২০১৯ সালে নির্মাণাধীন রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এদের মধ্যে মো. শাহীন উদ্দিন পাবনা গণপূর্ত উপবিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আর অভিযোগ ওঠার সময় মো. আলমগীর হোসেন রাজশাহী গণপূর্ত জোনে কর্মরত ছিলেন।

রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণ হয়।

তদন্ত কমিটির সুপারিশে অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাহীনকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরামর্শে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’-এর গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলমগীরকে একই কারণে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’-এর গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।

শুক্রবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ দণ্ডের কথা জানানো হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত