leadT1ad

আলফাডাঙ্গায় আমির হামজা হত্যাকাণ্ড

পাওনা ৫০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুর হাতে খুন মাদ্রাসাছাত্র

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ফরিদপুর

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৫
হত্যাকাণ্ডের প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা ৫০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধু হাতে খুন হয়েছে মাদ্রাসাছাত্র আমির হামজা (১৩)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটক কিশোর। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।

এর আগে নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মাদ্রাসার পাশের ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থা তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরবর্তীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যায় জড়িত কিশোরকে চিহ্নিত ও আটক করা হয়। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী সার্কেল) মো. আজম খান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যার শিকার মাদ্রাসাছাত্র আমির হামজা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েমউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। একই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার জামাতখানা বিভাগের দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। অপরদিকে গ্রেপ্তার কিশোর (১৬) একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। তারা দুজন বন্ধু ছিল।

গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় আমির হামজা। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় বস্তাবন্দী অবস্থায় তার লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ​

গ্রেপ্তার কিশোরের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আজম খান বলেন, হত্যার শিকার আমির হামজার কাছে ৫০ টাকা পাওনা ছিল গ্রেপ্তার কিশোর। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব ও তাঁকে গালিগালাজ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এর এক পর্যায়ে সে আমির হামজাকে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যার পরে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। অপরাধ ধামাচাপা দিতে ভোরের দিকে মরদেহটি একটি বস্তার ভেতর ইটের টুকরোসহ আটকে মাদ্রাসার পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আজম খান বলেন, প্রাথমিকভাবে আটক কিশোর স্বীকার করেছে, সে পাওনা ৫০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে গালিগালাজের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সেই একাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দাবি করলেও হত্যা ও লাশ লুকাতে আরও কেউ জড়িতে আছে কিনা, তা নিয়ে অধিকতর তদন্ত করছে পুলিশ। মামলার পর তাকের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত