leadT1ad

ঝুঁকিতে আগাথা ক্রিস্টির ইরাকের বাড়ি

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ২০
ঝুঁকিতে আগাথা ক্রিস্টির ইরাকের বাড়ি। সংগৃহীত ছবি

রহস্য-রোমাঞ্চ ধারার জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক আগাথা ক্রিস্টির জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে ইরাকে। রাজধানী বাগদাদের টাইগ্রিস নদীর তীরে মনোরোম একটি বাড়িতে থাকতেন ‘কুইন অব ক্রাইম’ নামে পরিচিত এই লেখিকা। সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী সেই বাড়িটির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। বাগদাদের করাদাত মারিয়াম জেলায় অবস্থিত পুরোনো বাড়িটির দেয়ালে ঝুলছে সতর্কবার্তা।

মেরামত না করলে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে বাড়িটি। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, ভেঙে পড়ার ঝুঁকি নিয়েও বাগদাদে আগাথা ক্রিস্টির স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি এখনো ওই অঞ্চলের গভীর ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

ইরাকে আগাথা ক্রিস্টির ১৩ বছর

ইরাকি ইতিহাসবিদ আদিল আরদাভি আনাদোলুকে জানিয়েছে, আগাথা ক্রিস্টি প্রায় ১৩ বছর ইরাকে বসবাস করেছিলেন। আরদাভি বলেন, ‘তাঁর স্বামী ছিলেন প্রাচীন নিদর্শন বিশারদ। এখানে যেসব নিদর্শন তিনি আবিষ্কার করেন তার অনেকগুলোই এখন জাদুঘরে রাখা আছে। আগাথা ক্রিস্টি ছিলেন এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারী। ইরাক থেকে আশেপাশের দেশগুলোতেও ভ্রমণ করেছেন তিনি।’

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের টাইগ্রিস নদীর তীরে মনোরোম একটি বাড়িতে থাকতেন আগাথা ক্রিস্টি। সংগৃহীত ছবি
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের টাইগ্রিস নদীর তীরে মনোরোম একটি বাড়িতে থাকতেন আগাথা ক্রিস্টি। সংগৃহীত ছবি

আদিল আরদাভি আরও বলেন, আগাথা ক্রিস্টি বাগদাদে এসে টাইগ্রিস নদীর তীরে পুরোনো বাগদাদীয় স্থাপত্যধারায় নির্মিত এই বাড়িটিকে বেছে নেন। তাঁর ধারণা, ওই বাড়ি থেকে নদীর দৃশ্য আগাথা ক্রিস্টিকে তাঁর খ্যাতনামা সব লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত যুগিয়েছিল।

আরদাভির মতে, বাড়িটিতে আগাথা ক্রিস্টি থাকার আগে লোকদের বলাবলি করতে শোনা যেতো, সেখানে ইরাকের রাজা ফয়সাল প্রথমের (শাসনকাল: ১৯২১–১৯৩৩) ভাই আলি ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।

আরদাভি বলেন, ‘আগাথা ক্রিস্টির বাগদাদ নিয়ে বহু লেখা ও উপন্যাস রয়েছে। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস “মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস”-এর একটা বড় অংশেও বাগদাদ রয়েছে। বাগদাদে তখন একটি রেল চলতো, সরাসরি তুরস্ক ও ইউরোপে যেতে পারত মানুষ। আগাথা ক্রিস্টি ইরাকিদের খুব ভালোবাসতেন। কারণ, তিনি দীর্ঘ সময় বাগদাদে ছিলেন এবং ইরাকের একজন বন্ধু হয়ে ওঠেছিলেন।’

ক্রিস্টির বসবাস করা বাড়িটি এখন ধ্বংসপ্রায়। এরপরও ব্রিটিশ দূতাবাস এবং ইরাকি কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগ এটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করতে পারে বলে মত দেন আরদাভি।

পুরোনো বইয়ের বিপণনের জন্য বিখ্যাত বাগদাদের মুতানাব্বি স্ট্রিটের একজন বই বিক্রেতা হামজা আবু সালিও জানান, ইরাকিদের মধ্যে আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাসের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তাঁর বইগুলো সব সময়ই সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা বইয়ের তালিকায় থাকে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত