leadT1ad

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতার হামলার অভিযোগ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৫
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার তালায় জামায়াত ইসলামীর এক ইউনিয়ন নেতার নেতৃত্বে দুই দফায় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটা রাস্তা সংস্কার নিয়ে বিরোধের জেরে গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেক সাংবাদিককে মারধর করা হয়।

দুপুরে রহিমাবাদ গ্রামে হামলায় আহত আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম বর্তমানে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরের ঘটনায় শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানান বলে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুদ্দীন।

হামলায় তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য মশিয়ার রহমান ও উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে রহিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা সাংবাবিদক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু ও তাঁর বাবা-মাকে মারধর করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে আরেক সাংবাদিক খাঁন নাজমুল ইসলামকেরও ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত রমেছা বেগমের ছেলে ও স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, ‘গ্রামের মধ্যে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠকে বসা হয়। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দেবে না বলে বাধা দেন। আমার বাবা প্রতিবাদ করলে দলবল নিয়ে বাবা-মা ও আমাকে মারপিট করে। মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীরা সবাই জামায়াতের কর্মী সমর্থক।’

হামলার শিকার সাংবাদিক খাঁন নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যান। সেখানে পৌঁছানো মাত্রই জরুরি বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য মশিয়ার রহমান ও উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা আতর্কিতভাবে হামলায় চালিয়ে মারধর করে।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আমরা মীমাংসার জন্য গিয়েছিলাম। এ সময় সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতি হয়, তবে মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।’ চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

জানতে চাইলে জামায়াত নেতা মশিয়ার রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক নাজমুলকে আমি বলেছি, এটা পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা, পত্রপত্রিকায় খবর দিয়ে থানা-পুলিশ করার দরকার নেই। এ সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিলেন, তাঁরা তাঁর ক্যামেরা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়েছে।’

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীন বলেন, দুপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেই জেরে সন্ধ্যায় আবার মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত