leadT1ad

সরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, আবেদন অনলাইনে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। স্ট্রিম ছবি

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। স্কুলের কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রমে রাখা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নীতিমালা জারি করা হয়। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

নীতিমালায় বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঢাকা মহানগরের সরকারি বিদ্যালয়সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর বয়স কত হতে হবে

‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। নীতিমালায় আরও বলা আছে, কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। অর্থাৎ, যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের মধ্যে তারা প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

এছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।

শিক্ষাবর্ষ

নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ বিবেচিত হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কোটা যমজ ভর্তি

ঢাকা মহানগরের সরকারি বিদ্যালয়সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঢাকা মহানগরের সব সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করবে।

মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে সাধারণ কোটা থেকে ভর্তি করাতে হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ০ দশমিক ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরতদের সন্তানদের জন্য ০ দশমিক ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর যমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকলে বা যে সকল যমজ ভাই/বোন নতুন আবেদন করবে তাদের জন্য ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির মোট ৩ সন্তান পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে।

একইভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর ভাই-বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে অথবা যে সকল সহোদর/সহোদরা নতুন আবেদন করবে তাদের জন্য ৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

নীতিমালায় বলা আছে, কোন অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না। কোটাভুক্ত আসন পূরণ না হলে সাধারণ কোটা থেকে ভর্তি করতে হবে।

ভর্তি কমিটি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ফি

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

স্কুল চয়েজ বা পছন্দক্রম যেভাবে

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি পছন্দক্রম (২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে কোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত