জুলাই-যোদ্ধার বয়ানে ৫ আগস্ট
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রায় প্রতিদিনই অংশ নিয়েছেন হোসাইন। ৫ আগস্ট যখন ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি’ স্লোগানে মুখর ঢাকার রাস্তাঘাট, তখনও রাজপথে ছিলেন হোসাইন।
শতাব্দীকা ঊর্মি
‘লাশটা নিয়া যাইতে দেন’– পুলিশকে অনুরোধ করছিলেন হোসাইনের ভাই হাসান। লাশের স্তূপের পাশে নিজের ভাইকে এমন নিস্তেজ পড়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন তিনি। এমনই এক ভয়াবহ অবস্থা থেকে কোনোরকমে বেঁচে ফেরেন মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ। তবে তাঁকে চিরদিনের মতো হারাতে হয়েছে একটি হাত।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হন হোসাইন। পরে কেটে ফেলতে হয় একটি হাতই। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চলছে নানান আয়োজন। কিন্তু নিজের এক হাত হারানোর সঙ্গে সেদিনের ভয়াল স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারেন না হোসাইন। তার কথাতেই উঠে এলো সেদিনের ভয়াবহ চিত্র। এই জুলাই যোদ্ধা স্ট্রিমকে বলছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
ঢাকার ডেমরায় পরিবারের সঙ্গে বাস করেন ২৪ বছরের হোসাইন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রায় প্রতিদিনই অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। ৫ আগস্ট যখন ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি’ স্লোগানে মুখর ঢাকার রাস্তাঘাট, তখনও রাজপথেই ছিলেন হোসাইন। সেদিন সকালে বাড়ি থেকে তিন ভাই একসঙ্গেই বেরোলেন আন্দোলনের উদ্দেশ্যে। যাত্রাবাড়ীতে ছিল অসংখ্য মানুষের ঢল। হঠাৎ পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলি চলতে লাগল। তাঁর সামনে পড়তে লাগল একের পর এক লাশ। হোসাইনের বয়ান অনুযায়ী, তারা একটু এগিয়ে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলেন, এত গুলি কোথা থেকে আসছে। দেখলেন সামনের উঁচু ভবন থেকে স্নাইপার তাক করা। এরপর আচমকাই কয়েকজন পুলিশ তাঁর সামনে এল এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে বললেন, ‘যেমন আসছিস, তেমন মাশুল দে’। বলামাত্রই গুলি করা হলো হোসাইনকে। লুটিয়ে পড়লেন তিনি।
সেদিনের টালামাটাল পরিস্থিতিতে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথেও পড়েছেন নানা সংকটে, ছিল না পর্যাপ্ত যানবাহন। 'ওইদিন শুধু গাড়ি ভাড়া দিতেই আমার খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার টাকার মতো। কোনো হাসপাতালই ভর্তি নিচ্ছিল না। তবুও তো হাত কেটে ফেলা লাগল’, বলছিলেন হোসাইন।
হাত হারানোর প্রায় এক বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে হোসাইনের জীবন। অঙ্গহানির পর জীবন অনেকখানি বদলে গেছে তার। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। এখনও খেতে হচ্ছে নিয়মিত ওষুধ। আর হোসাইনের মানসিক চাপ সামলাতেও সমস্যার মুখে পড়েছে তার পরিবার। হোসাইনের মা বলছিলেন, ‘আমার পোলাডা এখন অল্পেই রেগে যায়। হঠাৎ হঠাৎ এত মন খারাপ কইরা থাকে। আমার কষ্ট লাগে, ডর করে।’
২০২৪ সালে ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী। এর পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চলতে থাকে আন্দোলন। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সরকারি নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা গুম, খুনসহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন দেশের মানুষ। ৫ আগস্ট এক দফা দাবির মুখে সম্মিলিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
‘লাশটা নিয়া যাইতে দেন’– পুলিশকে অনুরোধ করছিলেন হোসাইনের ভাই হাসান। লাশের স্তূপের পাশে নিজের ভাইকে এমন নিস্তেজ পড়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন তিনি। এমনই এক ভয়াবহ অবস্থা থেকে কোনোরকমে বেঁচে ফেরেন মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ। তবে তাঁকে চিরদিনের মতো হারাতে হয়েছে একটি হাত।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হন হোসাইন। পরে কেটে ফেলতে হয় একটি হাতই। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চলছে নানান আয়োজন। কিন্তু নিজের এক হাত হারানোর সঙ্গে সেদিনের ভয়াল স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারেন না হোসাইন। তার কথাতেই উঠে এলো সেদিনের ভয়াবহ চিত্র। এই জুলাই যোদ্ধা স্ট্রিমকে বলছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
ঢাকার ডেমরায় পরিবারের সঙ্গে বাস করেন ২৪ বছরের হোসাইন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রায় প্রতিদিনই অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। ৫ আগস্ট যখন ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি’ স্লোগানে মুখর ঢাকার রাস্তাঘাট, তখনও রাজপথেই ছিলেন হোসাইন। সেদিন সকালে বাড়ি থেকে তিন ভাই একসঙ্গেই বেরোলেন আন্দোলনের উদ্দেশ্যে। যাত্রাবাড়ীতে ছিল অসংখ্য মানুষের ঢল। হঠাৎ পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলি চলতে লাগল। তাঁর সামনে পড়তে লাগল একের পর এক লাশ। হোসাইনের বয়ান অনুযায়ী, তারা একটু এগিয়ে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলেন, এত গুলি কোথা থেকে আসছে। দেখলেন সামনের উঁচু ভবন থেকে স্নাইপার তাক করা। এরপর আচমকাই কয়েকজন পুলিশ তাঁর সামনে এল এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে বললেন, ‘যেমন আসছিস, তেমন মাশুল দে’। বলামাত্রই গুলি করা হলো হোসাইনকে। লুটিয়ে পড়লেন তিনি।
সেদিনের টালামাটাল পরিস্থিতিতে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথেও পড়েছেন নানা সংকটে, ছিল না পর্যাপ্ত যানবাহন। 'ওইদিন শুধু গাড়ি ভাড়া দিতেই আমার খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার টাকার মতো। কোনো হাসপাতালই ভর্তি নিচ্ছিল না। তবুও তো হাত কেটে ফেলা লাগল’, বলছিলেন হোসাইন।
হাত হারানোর প্রায় এক বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে হোসাইনের জীবন। অঙ্গহানির পর জীবন অনেকখানি বদলে গেছে তার। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজই হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। এখনও খেতে হচ্ছে নিয়মিত ওষুধ। আর হোসাইনের মানসিক চাপ সামলাতেও সমস্যার মুখে পড়েছে তার পরিবার। হোসাইনের মা বলছিলেন, ‘আমার পোলাডা এখন অল্পেই রেগে যায়। হঠাৎ হঠাৎ এত মন খারাপ কইরা থাকে। আমার কষ্ট লাগে, ডর করে।’
২০২৪ সালে ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী। এর পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চলতে থাকে আন্দোলন। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সরকারি নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা গুম, খুনসহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন দেশের মানুষ। ৫ আগস্ট এক দফা দাবির মুখে সম্মিলিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
৫ আগস্ট শুধু শেখ হাসিনার পতনই ঘটে না, এদিন বহু মানুষ নিজের জীবনও হারান। গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম রক্তক্ষয়ী দিন ছিল সেটি। জনতার বিজয়োল্লাসে মিশে ছিল সহ-নাগরিক হারানোর শোক।
২ ঘণ্টা আগেচব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহত ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেওয়া খাল খনন কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
১১ ঘণ্টা আগেজুলাইকে ধারণ করে মিরপুরে শাহ আলীর মাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাবগানের আসর। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয়েছে এ অনুষ্ঠান। শুরুতে জুলাইকে নিয়ে বানানো ডকুমেন্টারি ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ সহ বেশ কিছু ডকুমেন্টরি দেখানো হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এই শো।
১৫ ঘণ্টা আগে