স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে এই সংঘর্ষের কারণ জানেন না শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকা আটকে দিয়ে অবস্থান নেয় দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা। ইটপাটকেল, লাঠি হাতে থেমে থেমে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে পুলিশ। তবে বেলা সাড়ে তিনটার সময়ও দুই কলেজের সামনে ব্যাপাক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।
সংঘর্ষ চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় সায়েন্সল্যাব মোড়ের যান চলাচল। ফলে নিউমার্কেট, জিগাতলা, কাঁটাবন ও ধানমন্ডি এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। বিপাকে পড়েন অনেক যাত্রী। পরে বেলা তিনটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
তবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়নি সংঘর্ষের কারণ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও কারণ জানাতে পারেননি কেউ। এক পক্ষ বলছে ঢাকা কলেজ আগে হামলা করেছে। আরেক পক্ষ বলছে সিটি কলেজ আগে তাঁদের মেরেছে।
ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসিন বেলা আড়াইটার দিকে স্ট্রিমকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কারণ এখনো জানতে পারি নাই। তবে আমি আহত হয়েছি। নারায়ণগঞ্জ থেকে মৌমিতা বাসে চড়ে আমি কলেজে আসছিলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে পৌঁছলে ঢাকা কলেজের কয়েকজন বাসে উঠে চেক করা শুরু করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি আইডি কার্ড খুলে রাখি। বাসের পেছন দিকে সিটি কলেজের আরেকজন শিক্ষার্থী ছিল। তারা প্রথমে তাঁকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমাকে মারধর করে।’
এ সময় তিনি নিজের ছেঁড়া ইউনিফর্ম দেখাতে থাকেন।
ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সাদিক জিম স্ট্রিমকে বলেন, এই ঝামেলাটা আরও দুদিন আগে থেকে শুরু হইছে। ঢাকা কলেজের সামনে আমাদের পাঁচজন ভাইকে ওরা প্রথমে মারে। আমরা কিছু বলি নাই। আজকে সকালে আবার একই ঘটনা ঘটে। বাটা সিগন্যালে রমজান বাসের ভিতর ঢুকে আমাদের কয়েকজনের আইডি কার্ড, ব্যাগ রেখে দিছে তারা৷ মেরে আহত করছে। পরে আমরা রাস্তায় নেমে আসি।’
‘সংঘর্ষের কারণ এখনো জানতে পারি নাই। তবে আমি আহত হয়েছি।’ তাহসিন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, ঢাকা সিটি কলেজ
সাদিক আরও বলেন, ‘আমাদের কলেজের পাঁচজনের বেশি আহত হয়েছে। একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আরেকজনে মুখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী স্ট্রিমকে বলেন, ‘ওরা সুযোগ পেলেই আমাদের ওপর হামলা করে। আজকে আমাদের একটা বাস ওরা নিয়া যাইতে চাইছিল। আজকেও একই ঘটনা ঘটেছে।’ তবে আজকের সংঘর্ষের কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফিরোজ স্ট্রিমকে বলেন, ‘সিটি কলেজের আশপাশে যেতে পারি না আমরা। ধানমন্ডি ঘুরতে বা হাঁটতে গেলেও হামলার শিকার হতে হয়। তাই আজকে আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।’
সংঘর্ষ চলাকালে সিটি কলেজের পক্ষ নেয় আইডিয়াল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা কলেজের পোলাপান আইডিয়াল কলেজের কয়েকজনকেও মারছে। পরে ওরা আমাদের সাথে যুক্ত হইছে। তা ছাড়া আইডিয়াল-সিটি তো আগে থেকেই ভাই ভাই।’
আগামী রোববার আবার সংঘর্ষ হবে পারে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের গ্যাঞ্জাম বহু পুরাতন। আজকে ঢাকা কলেজের পোলাপান যেই কাজটা করল, এইটা ঠিক করে নাই। আমরা ছাড় দিব না। রোববার দেখে নিব।’
তবে একটি কোচিং সেন্টারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ান বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিউমার্কেট থানার ওসি এ কে এম মাহফুজুল হক স্ট্রিমকে বলেন, ‘উদ্ভাস নামের একটি কোচিংয়ে এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীই ক্লাস করেন। সেখানে গত মঙ্গলবার বসার জায়গা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তারপর ধানমন্ডির কিছু জায়গায় সিটি কলেজের ছেলেরা ঢাকা কলেজের ছেলেদের ধমকাধমকি করে। এর জের ধরে আজকের এই সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা।
ওসি বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে চারজন পুলিশ আহত হয়েছে। আর সিটি কলেজের ৪ জন এবং ঢাকা কলেজের ২ জন আহত হয়েছেন।’
রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে এই সংঘর্ষের কারণ জানেন না শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকা আটকে দিয়ে অবস্থান নেয় দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা। ইটপাটকেল, লাঠি হাতে থেমে থেমে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে পুলিশ। তবে বেলা সাড়ে তিনটার সময়ও দুই কলেজের সামনে ব্যাপাক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।
সংঘর্ষ চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় সায়েন্সল্যাব মোড়ের যান চলাচল। ফলে নিউমার্কেট, জিগাতলা, কাঁটাবন ও ধানমন্ডি এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। বিপাকে পড়েন অনেক যাত্রী। পরে বেলা তিনটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
তবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়নি সংঘর্ষের কারণ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও কারণ জানাতে পারেননি কেউ। এক পক্ষ বলছে ঢাকা কলেজ আগে হামলা করেছে। আরেক পক্ষ বলছে সিটি কলেজ আগে তাঁদের মেরেছে।
ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসিন বেলা আড়াইটার দিকে স্ট্রিমকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কারণ এখনো জানতে পারি নাই। তবে আমি আহত হয়েছি। নারায়ণগঞ্জ থেকে মৌমিতা বাসে চড়ে আমি কলেজে আসছিলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে পৌঁছলে ঢাকা কলেজের কয়েকজন বাসে উঠে চেক করা শুরু করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি আইডি কার্ড খুলে রাখি। বাসের পেছন দিকে সিটি কলেজের আরেকজন শিক্ষার্থী ছিল। তারা প্রথমে তাঁকে মারধর করে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমাকে মারধর করে।’
এ সময় তিনি নিজের ছেঁড়া ইউনিফর্ম দেখাতে থাকেন।
ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সাদিক জিম স্ট্রিমকে বলেন, এই ঝামেলাটা আরও দুদিন আগে থেকে শুরু হইছে। ঢাকা কলেজের সামনে আমাদের পাঁচজন ভাইকে ওরা প্রথমে মারে। আমরা কিছু বলি নাই। আজকে সকালে আবার একই ঘটনা ঘটে। বাটা সিগন্যালে রমজান বাসের ভিতর ঢুকে আমাদের কয়েকজনের আইডি কার্ড, ব্যাগ রেখে দিছে তারা৷ মেরে আহত করছে। পরে আমরা রাস্তায় নেমে আসি।’
‘সংঘর্ষের কারণ এখনো জানতে পারি নাই। তবে আমি আহত হয়েছি।’ তাহসিন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, ঢাকা সিটি কলেজ
সাদিক আরও বলেন, ‘আমাদের কলেজের পাঁচজনের বেশি আহত হয়েছে। একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আরেকজনে মুখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী স্ট্রিমকে বলেন, ‘ওরা সুযোগ পেলেই আমাদের ওপর হামলা করে। আজকে আমাদের একটা বাস ওরা নিয়া যাইতে চাইছিল। আজকেও একই ঘটনা ঘটেছে।’ তবে আজকের সংঘর্ষের কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফিরোজ স্ট্রিমকে বলেন, ‘সিটি কলেজের আশপাশে যেতে পারি না আমরা। ধানমন্ডি ঘুরতে বা হাঁটতে গেলেও হামলার শিকার হতে হয়। তাই আজকে আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।’
সংঘর্ষ চলাকালে সিটি কলেজের পক্ষ নেয় আইডিয়াল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা কলেজের পোলাপান আইডিয়াল কলেজের কয়েকজনকেও মারছে। পরে ওরা আমাদের সাথে যুক্ত হইছে। তা ছাড়া আইডিয়াল-সিটি তো আগে থেকেই ভাই ভাই।’
আগামী রোববার আবার সংঘর্ষ হবে পারে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজের গ্যাঞ্জাম বহু পুরাতন। আজকে ঢাকা কলেজের পোলাপান যেই কাজটা করল, এইটা ঠিক করে নাই। আমরা ছাড় দিব না। রোববার দেখে নিব।’
তবে একটি কোচিং সেন্টারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ান বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিউমার্কেট থানার ওসি এ কে এম মাহফুজুল হক স্ট্রিমকে বলেন, ‘উদ্ভাস নামের একটি কোচিংয়ে এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীই ক্লাস করেন। সেখানে গত মঙ্গলবার বসার জায়গা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তারপর ধানমন্ডির কিছু জায়গায় সিটি কলেজের ছেলেরা ঢাকা কলেজের ছেলেদের ধমকাধমকি করে। এর জের ধরে আজকের এই সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা।
ওসি বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে চারজন পুলিশ আহত হয়েছে। আর সিটি কলেজের ৪ জন এবং ঢাকা কলেজের ২ জন আহত হয়েছেন।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও ভাতা বাড়ানোর দাবি আদায়ে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের প্রায় ৮০ শতাংশের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। আর শুধু পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে হিসাব করলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৪ শতাংশে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগেঅনেক ভিকটিম পরিবার মনে করে, গুমের অভিযোগ করলে, পরবর্তীতে তাঁদের সমস্যা হবে। নিপীড়নের খড়্গ নেমে আসবে, পরিবারের অন্য সদস্যরাও নির্যাতনের শিকার হবেন। শেখ হাসিনার আমলে গুমের ঘটনায় এ কারণে এখনো অনেক অভিযোগ আসেনি।
২ ঘণ্টা আগেঅমর একুশে বইমেলা কখন অনুষ্ঠিত হবে—এ বিষয়ে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ চাইছেন ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতেই মেলা হোক। অন্যদিকে অনেকেই বলছেন, সবাই ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চায়, তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগে