leadT1ad

স্বাস্থ্য /একদিকে ডেঙ্গু অন্যদিকে করোনা, উচ্চ ঝুঁকিতে দেশ, গা ছাড়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এডিস মশার যে ঘনত্ব পাওয়া গেছে, তাতে সারা দেশে ডেঙ্গু বিস্তারের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, ফলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে—এমন আশঙ্কা গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের।

ফারুক হোসাইন
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১৪: ৪৪
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১৫: ২২
বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু এবং করোনা। স্ট্রিম ছবি/এআই

দেশে শুধু জুন মাসে করোনায় মারা গেছেন সাতজন। মৃত্যুর এই সংখ্যা সরকারের নথিপত্রের। আদতে সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি। ডেঙ্গু ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। ‘রাজা আসে রাজা যায়’, কিন্তু ডেঙ্গুর কোনো সমাধান হয় না। মহানগর ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু রোগপ্রতিরোধ বা প্রতিকারের তৎপরতা চলছে গা-ছাড়াভাবে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এডিস মশার যে ঘনত্ব পাওয়া গেছে, তাতে সারা দেশে ডেঙ্গু বিস্তারের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, ফলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে—এমন আশঙ্কা গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ডেঙ্গু এবার ঢাকার বাইরে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার এডিস মশার বংশবিস্তার ও ঘনত্ব নিয়ে করা একটি গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, এখনো কিছু সময় আছে। এডিস মশার ব্রিডিং সোর্স ম্যানেজমেন্ট, প্রজননস্থল ধ্বংস ক রতে হবে। লার্ভা ম্যানেজমেন্টসহ জনগণকে সচেতন করে সম্পৃক্ত করা গেলে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। না হলে, ডেঙ্গু উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলবে এ বছর।

এ দিকে গত শুক্রবার (২০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তা এ রোগের ভয়াবহতা নির্দেশ করছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৫১ জন বারদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। যদিও কেউ মারা যাননি। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগের। এরপর ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রামের অবস্থান। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৯২৬ জন; মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।

ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় এডিস মশার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ২৭০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৪টি বাড়িতে এডিস লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই পৌরসভার ব্রুটো ইনডেক্স ৬০।

ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়মিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে। গত বৃহস্পতিবারে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, বুধবার (১৮ জুন) সকাল আটটা থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪৮ জন ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন রাজধানীর ২ সিটি করপোরেশন এলাকার, বাকিরা অন্যান্য জেলার।

এরমধ্যে বরগুনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জেলাটিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ বছর পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বরগুনায় ৭৮ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও মে মাসে একটি জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার বিস্তার বাড়ছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বরিশাল সিটি করপোরেশন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং কুষ্টিয়া, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ ও মাগুরা পৌরসভা এলাকায় যান জরিপকারীরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় মার্চ মাসে এবং অন্য পৌরসভাগুলোয় মে মাসে চলে এই জরিপ।

কোনো এলাকার মশার ঘনত্বের একক হলো ব্রুটো ইনডেক্স। ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলেই সেখানে মশার বিপজ্জনক উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়। জরিপ করা আটটি জেলার মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় এডিস মশার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ২৭০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৪টি বাড়িতে এডিস লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই পৌরসভার ব্রুটো ইনডেক্স ৬০। মাগুরা পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ২৭০টি বাড়ি পরিদর্শন করে ১৫০টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ওই পৌরসভার ব্রুটো ইনডেক্স ৫৫।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স - স্ট্রিম গ্রাফিক
দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স - স্ট্রিম গ্রাফিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স, ৫.৫২, বরিশালের ২.৫ এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪.৭৯। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ৭.৮৭, পিরোজপুরে ২০ এবং পটুয়াখালী পৌরসভায় ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ১৯.২৬।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকার ৩ হাজার ১৪৭টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পায় আইইডিসিআরের জরিপকারীরা। অর্থাৎ, সে সময় ঢাকার ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি ছিল। জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮.৩২ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭.৯৫ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, রাজধানীর ২ সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই ওয়ার্ডগুলোর ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু এখন আর শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেরই সমস্যা। তবে ঝুঁকিটা ঢাকার বাইরে বেশি। কারণ, সেখানে প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট নয়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকারকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর পরামর্শ দিয়ে ডা. বে-নজির বলেন, দেশের সব পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে ন্যূনতম ব্যবস্থা নিতে পারলে ঝুঁকি কিছুটা এড়ানো যাবে।

ঢাকার পাশাপাশি এ বছর অন্য জেলাগুলোতেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হবে উল্লেখ করে কবিরুল বাশার বলেন, ৫ আগস্টের পর সিটি করপোরেশনগুলো নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ায় অনেক জায়গায় আমরা কাজের চেইন অব কমান্ড দেখতে পাইনি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে কিছু কাজ হচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য সিটি করপোরেশনে কাজগুলো ঢিমেতালে চলছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এটিকে আমলে নিচ্ছে না। বাংলাদেশে অতীতেও জুন-জুলাই-আগস্টে করোনার পিক সময় গেছে। গত কয়েক বছরের করোনা আক্রমণের যে প্রবণতা লক্ষ করা গেছে, তাতে বছরের শুরুতেই সরকারকে করোনা মোকাবিলায় একটি ব্যবস্থাপনা ক্যালেন্ডার করার পরামর্শ তাঁর।- ডা. বে-নজির আহমেদ, জনস্বাস্থ্যবিদ, সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা আছে, ব্যবস্থা নেই

ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। বাংলাদেশেও গত কয়েক মাসের তুলনায় জুনে করোনার সংক্রমণের পরিসংখ্যান বাড়তির দিকে। বছরখানেক পর চলতি মাসে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০ তারিখ (শুক্রবার) নতুন ছয় করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে। ১৯ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল তারা। চলতি বছর করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩; মে মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ জনে। তবে জুন মাসের প্রথম ২০ দিনেই ২৯৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

১১ জুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে অধিদপ্তর।

চলতি বছরে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু - স্ট্রিম গ্রাফিক
চলতি বছরে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু - স্ট্রিম গ্রাফিক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয় কোন জেলায় প্রতিদিন কতজন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ৯টি জেলা থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার তথ্য এসেছে। অন্য জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, কুমিল্লা ও কক্সবাজার। বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে শূন্য নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের চিত্র দেখা গেছে।

একটি বিমানবন্দর ও দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর রয়েছে যশোরে। ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলায় গত কয়েক দিন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে— এমন কোনো তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। কারণ, কিট নেই।

ভারত সীমান্তবর্তী যশোর জেলায় সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। কারণ, কিট নেই।সেখানে গত বুধবার দুজন করোনা রোগী মারা গেছেন। এ ছাড়া শুক্রবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে করোনা আক্রান্ত আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

তবে গত বুধবার জেলাটিতে দুজন করোনা রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মো. মাসুদ রানা। এ ছাড়া শুক্রবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে করোনা আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. মাসুদ রানা ঢাকা স্ট্রিমকে বলেন, ‘জেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ আছে। টেস্ট কিট বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছায়। গতকাল (শনিবার) থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করা যাবে।’

দিনাজপুরের সিভিল সার্জন মো. আসিফ ফেরদৌস জানান, জেলায় টেস্ট কিটের স্বল্পতা রয়েছে। শুধু দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছু কিট রয়েছে; সেখানে টেস্ট করানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহনাগাদ কিটের স্বল্পতা কেটে যাবে বলে তাঁর আশা। তখন সদর হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যাবে।

এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা স্ট্রিম। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর জেলায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানসম্মত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যে গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে, সে অনুযায়ী জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।

ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এখন রোগী শনাক্তের প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা দরকার। এটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘুরে বরাদ্দ আসে।

করোনা এখন ঋতুভিত্তিক রোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে জানান ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এটিকে আমলে নিচ্ছে না। বাংলাদেশে অতীতেও জুন-জুলাই-আগস্টে করোনার পিক সময় গেছে। গত কয়েক বছরের করোনা আক্রমণের যে প্রবণতা লক্ষ করা গেছে, তাতে বছরের শুরুতেই সরকারকে করোনা মোকাবিলায় একটি ব্যবস্থাপনা ক্যালেন্ডার করার পরামর্শ তাঁর।

Ad 300x250

সম্পর্কিত