নতুন ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপদেরকে সরকারের ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্পের’ আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। একই সঙ্গে, যেসব স্টার্টআপ অনিয়মিতভাবে এই সুবিধা ব্যবহার করছে, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন ও যোগ্যদের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নতুন কো-ওয়ার্কিং স্পেস নীতিমালা বাস্তবায়নের পর আইডিয়া প্রকল্পের কার্যক্রমে আরও গতি এসেছে। এ পর্যন্ত বিশেষ কমিটির ছয়টি সভায় নতুন স্টার্টআপদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে মোট ৫১টি ডেস্কের মধ্যে বর্তমানে ৩৩টি ডেস্ক বিভিন্ন স্টার্টআপকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৮টি ডেস্কের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্ভাবনাময় নতুন স্টার্টআপদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এই কো-ওয়ার্কিং স্পেসে উদ্যোক্তারা ছয় মাস মেয়াদে বিনামূল্যে অফিস স্পেস, উচ্চগতির ইন্টারনেট, মিটিং ও কনফারেন্স রুম ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন। এ ছাড়া, মনিটরিং, কর্পোরেট নেটওয়ার্কিং এবং আইডিয়া ল্যাব ব্যবহারের মতো বিশেষ সুযোগও রয়েছে।
আগ্রহী উদ্যোক্তাদের আইডিয়া প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের (idea.gov.bd) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স বা বিআইএন, টিআইএন সার্টিফিকেট, প্রতিষ্ঠাতার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি এবং অনুদান পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট চুক্তিপত্রের কপি জমা দিতে হবে।
শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী ধারণার অধিকারী স্টার্টআপরাই এই কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায়িক বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।