leadT1ad

এ কে আজাদের ওপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা করছে পুলিশ: নায়াব ইউসুফ

সাবেক এমপি ও ব্যবসায়িক নেতা এ কে আজাদের নির্বাচনী গণসংযোগে রবিবার স্থানীয় যুবদলের হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন নায়াব ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘দুদিন যাবৎ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করছে, যেমনটা অতীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নির্বিত করার চেষ্টা করতেন।’

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ফরিদপুর

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৪৪
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সাবেক এমপি ও ব্যবসায়িক নেতা এ কে আজাদের নির্বাচনী গণসংযোগে স্থানীয় যুবদলের হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। স্ট্রিম ছবি

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদকে ইঙ্গিত করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ অভিযোগ করেছেন, ফরিদপুরে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনে পুলিশ প্রশাসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ফরিদপুরে নতুনভাবে আওয়ামী দুঃশাসনের আমল শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সাবেক এমপি ও ব্যবসায়িক নেতা এ কে আজাদের নির্বাচনী গণসংযোগে স্থানীয় যুবদলের হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নায়াব ইউসুফ। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এতে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘দুদিন যাবৎ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করছে, যেমনটা অতীতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নির্বিত করার চেষ্টা করতেন।’

নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। তিনি এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এ ছাড়া এই আসনের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহাবুব হাসান ভূইয়া পিংকু দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এর আগে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগকালে এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীরা। এ সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি গাড়িও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালুকাটার বিরোধিতা করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইডির দৃষ্টি আকর্ষণ করে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ কে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুর্নবাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নায়াব ইউসুফ বলেন , ‘ফরিদপুরের মাটিতে আওয়ামী দুঃশাসনের আমল নতুন রূপে শুরু হয়েছে। ’২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে এসেও অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসন এই সব আওয়ামী দোসরদের পুনঃবাসনের লক্ষ্যে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে নায়াব ইউসুফ দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ দিকে ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় শৈথিল্য প্রদর্শনের’ অভিযোগে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ‎সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতেজাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এ কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার পর দিনই ওই নোটিশের পর সংগঠনের ভেতর বিরুপ আলোচনা তৈরি হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত