চ্যালেঞ্জ থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই। লজিস্টিক্যালি আমার মনে হয় এক দিনে করা উত্তম এবং এভাবেই সুষ্ঠুভাবে করা যেতে পারে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, গণভোট এবং নির্বাচন এক দিনে আয়োজন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। সরকার কি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে, নাকি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে’— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জ থাকলেও চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে হবে, একই দিনে করতে হবে। সরকার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা, যেটা প্রধান উপদেষ্টা বলে দিয়েছেন—এক দিনে করা। কারণ দুই দিনে করা মানে পুরো ব্যবস্থাপনা নতুন করে সাজানো; রিটার্নিং কর্মকর্তা মবিলাইজ করা—আপনারা জানেন, এটা খুব সহজ কাজ না। কিছু ব্যাংকের জুনিয়র কর্মকর্তা, স্কুলশিক্ষকরাও ডিউটিতে যাবেন। তাদেরকে দুই দিন নিয়ে আসা কঠিন। অতএব এক দিনে করা ভালো। পৃথিবীর অনেক দেশেই তো এরকম হয়।
নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলে বাজেট কী হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, এটা তো এখন আমাদের কাছে বলেনি। আমরা তো বলেছি, নির্বাচন ও গণভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। ওখানেও লোকবল লাগবে, নিরাপত্তার বিষয় আছে। এটা আমরা খোলাখুলি বলেছি। আমাদের বাজেট এখন রিভাইজ করছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বাজেটটা ওপেন রয়েছে। আমার মনে হয়, শিডিউল ঘোষণার পরে তারা নতুন করে কোনো খরচ চাইবে না। নিয়মিত খরচ থাকতে পারে, জরুরি খরচ থাকতে পারে—সেটার ব্যবস্থা করা যাবে। তাদেরও কিছু ফান্ড আছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ও আছে। অতএব নির্বাচনের ব্যাপারে চিন্তার কারণ নেই।
উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে বাজেটের বিষয়ে শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে—কোন তারিখের মধ্যে তারা জানাবে। কারণ ডিসেম্বরেই আমরা বাজেট রিভাইজ করব। জানুয়ারিতে পরবর্তী সরকার আসার জন্য আমরা বাজেট প্রস্তুত রাখব।
‘আপনারা বাজেটে নির্বাচনের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলেন। এখন কি খরচ বাড়বে?’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন বাড়বে বা কমবে—বিষয়টি আমি বলতে পারব না। কারণ তাদের চাহিদা ভিন্ন রকম হতে পারে। গণভোটের বিষয়টি যুক্ত হয়েছে—এটা তো আগে বাজেট দেওয়ার সময় প্রক্ষেপণে ছিল না।
তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বর থেকে বিদেশে ভোটারদের এনরোলমেন্ট শুরু হবে—আপনারা জানেন, দূতাবাসে। সেক্ষেত্রে হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে চাহিদা আসতে পারে। আমি দেখে এসেছি সিঙ্গাপুরে, এর আগে জাপানেও দেখেছি, তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সেখানে তাদের খরচ যোগ হতে পারে। কর্মকর্তারা ওভারটাইম করবেন—সেটার ব্যবস্থাও আমরা করব।