আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম ও আইনি পরামর্শ জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে নিয়োগ পেয়েছেন দুই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আইনজীবী। তাঁরা হলেন—আইনজীবী আফজাল সামী সৈয়দ-আলী এবং ব্যারিস্টার মুহাম্মদ সাইফ উদ্দীন খালেদ। সরকার তাঁদের আগামী এক বছরের জন্য অবৈতনিক (বিনা পারিশ্রমিকে) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ প্রদান করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আইনজীবী আফজাল সামী সৈয়দ-আলীকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের ‘স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার’ (বিশেষ প্রসিকিউশন পরামর্শক) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর মূল কাজ হবে আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রসিকিউশনকে পরামর্শ দেওয়া।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যারিস্টার মুহাম্মদ সাইফ উদ্দীন খালেদকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর বা ইন্টারন্যাশনাল স্পোকসপারসন (আন্তর্জাতিক মুখপাত্র) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম তুলে ধরা এবং কূটনৈতিক ও আইনি যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করবেন।
উভয় নিয়োগই সম্পূর্ণ অবৈতনিক এবং তা আগামী এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের বিচারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে। এই বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রসিকিউশন টিমে এর আগেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মাসে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানকে চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। টবি ক্যাডম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ও প্রত্যর্পণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। এবার তাঁর সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও দুই ব্রিটিশ আইনি বিশেষজ্ঞ।