leadT1ad

নড়াইলে ৬ প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ ও খুলনায় ঘুষের প্রমাণ, তিন জেলায় দুদকের অভিযান

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫১
দেশের তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ, সেবাগ্রহীতাদের ফাইল আটকে ঘুষ গ্রহণ ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে দেশের তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পরিচালিত এসব অভিযানে নড়াইলে ছয়টি সরকারি প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে এবং খুলনায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এক সেবাগ্রহীতার ফাইল আটকে রেখে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। এছাড়া চট্টগ্রামের একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের সংকট ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম আজ সরেজমিনে অভিযান চালায়। দুদক কর্মকর্তারা ওই ইউনিয়নের ছয়টি প্রকল্প পরিদর্শন করেন ও সেখানে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করার পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। এই অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন শিগগিরই কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি এবং ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। সেখানে গত এক বছরের নথিপত্র দ্বৈবচয়ন বা র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হয়।

দেশের তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছবি: সংগৃহীত
দেশের তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছবি: সংগৃহীত

পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোনো কারণ ছাড়াই এক গ্রাহকের ফাইল দুই মাসের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছিল ও ওই সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা এই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

একই দিনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে আরেকটি অভিযান চালিয়েছে দুদকের চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়। অভিযানে দেখা যায়, নতুন সৃষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিসর ছোট এবং বর্তমানে শুধু আউটডোর সেবা চালু রয়েছে। সেখানে রোগীরা ৩ টাকার টিকিটে ডাক্তার দেখাতে পারলেও অনেকেই পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দুদক টিমকে জানান, সরকারি বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় চাহিদামতো ওষুধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে স্টক থাকা সাপেক্ষে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয়। দুদক টিম সেবার মান পর্যবেক্ষণ ছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, যা যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত