স্ট্রিম ডেস্ক
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই পরিবেশকে আরও সুসংহত করতে কমিশন সচিবালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ ইতোমধ্যে সহনীয় ও সুষ্ঠু। নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিবেশ দেশে অবশ্যই রয়েছে এবং এটিকে আরও সুসংহত করতে আজকের আলোচনাসহ প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে।’
নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন প্রসঙ্গে সচিব জানান, শুরুতে নির্বাচনকালীন পাঁচ দিনের জন্য বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে নির্বাচনের আগে তিন দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পর চার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য এবং আনসার বাহিনী মোতায়েন করবে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ সদস্য। সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার করেছে। বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্বাচনের সময় তা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হবে।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিষয়ে সচিব জানান, আলোচনায় ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিরাপত্তা, নির্বাচনি এলাকা ও সারা দেশের নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য অপব্যবহার প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনি অফিসের কার্যক্রম সমন্বয় এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি পরিবহন ও হেলিকপ্টার ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণায় সাধারণভাবে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র সচিব নিশ্চিত করেছেন, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, বডি-অন ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এছাড়া সব বাহিনী নিজস্ব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যাতে ভোটের দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনা মূলত নির্বাচনকে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠু করার প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ ছিল। ধাপে ধাপে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এককভাবে বা যৌথভাবে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা ফাইন-টিউন করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই-একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড, কোস্টগার্ড, আনসার, র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, এনটিএমসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা, তফসিল বাস্তবায়ন এবং ভোটগ্রহণের প্রতিটি ধাপের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। তারা নির্বাচনের পূর্বে, চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় বজায় থাকবে। এছাড়া প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।’ খবর বাসস।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই পরিবেশকে আরও সুসংহত করতে কমিশন সচিবালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ ইতোমধ্যে সহনীয় ও সুষ্ঠু। নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিবেশ দেশে অবশ্যই রয়েছে এবং এটিকে আরও সুসংহত করতে আজকের আলোচনাসহ প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে।’
নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন প্রসঙ্গে সচিব জানান, শুরুতে নির্বাচনকালীন পাঁচ দিনের জন্য বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে নির্বাচনের আগে তিন দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পর চার দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য এবং আনসার বাহিনী মোতায়েন করবে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ সদস্য। সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার করেছে। বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে এবং নির্বাচনের সময় তা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হবে।’
নির্বাচনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিষয়ে সচিব জানান, আলোচনায় ভোটকেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিরাপত্তা, নির্বাচনি এলাকা ও সারা দেশের নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য অপব্যবহার প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনি অফিসের কার্যক্রম সমন্বয় এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি পরিবহন ও হেলিকপ্টার ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণায় সাধারণভাবে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র সচিব নিশ্চিত করেছেন, ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, বডি-অন ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এছাড়া সব বাহিনী নিজস্ব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যাতে ভোটের দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনা মূলত নির্বাচনকে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠু করার প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ ছিল। ধাপে ধাপে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এককভাবে বা যৌথভাবে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা ফাইন-টিউন করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই-একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড, কোস্টগার্ড, আনসার, র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, এনটিএমসি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা, তফসিল বাস্তবায়ন এবং ভোটগ্রহণের প্রতিটি ধাপের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। তারা নির্বাচনের পূর্বে, চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় বজায় থাকবে। এছাড়া প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।’ খবর বাসস।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে থাকা ২ জন সিনিয়র সচিব ও ৭ জন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রাফিক ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাস (২৮)-এর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। স্বর্ণময়ী রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
৩ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারের ঘোষিত ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ‘যথেষ্ট নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে।
৪ ঘণ্টা আগে