দুর্গত এলাকায় ঘরবাড়ির আঙিনায় কাদাপানি, ভাঙাচোরা আসবাব আর পচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ নেই।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ফেনীর তিনটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে ফিরেও বেঁচে থাকার নতুন লড়াই করছে বন্যাদুর্গত হাজারো মানুষ। এসব এলাকায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও এখনই বাড়ি ফেরার অবস্থা নেই। দুর্গত এলাকায় ঘরবাড়ির আঙিনায় কাদাপানি, ভাঙাচোরা আসবাব আর পচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ নেই।
এদিকে বাড়ি ফেরার অবস্থা না থাকায় কিছু লোক এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে দিন পার করছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত ৯ হাজার ১৯৫ জন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে। তবে ৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৮৮ পরিবারের ৩৬৫ মানুষ আছে।
ফুলগাজীর গজারিয়া গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার বলেন, ‘পানি নেমে গেছে, কিন্তু ঘরে ঢোকা যাচ্ছে না। মাটি, কাদা, পচা খাবারের গন্ধে শিশুরা অসুস্থ অনুভব করছে। আশ্রয়কেন্দ্রেও এখন তেমন কিছু নেই।’
ফুলগাজীর আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিয়া ইসলাম বলেন, ‘এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ পুনরায় চালু হয়নি। পানি নামলেও অনেক ঘর বসবাসযোগ্য নয়। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
এর আগে চলতি জুলাইয়ের ৮ তারিখ থেকে টানা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয় ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত হয়ে আসা পাহাড়ি ঢল। এতে জেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। প্লাবিত হয় ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এ সময় ১৩৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়, তবে এর মধ্যে ১২১টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই বন্যায় জেলায় কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ির আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসল, সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর সড়কে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১৫টি দোকান। ব্যবসায়ীরা এখনো নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে খোঁজেন তাঁদের জীবিকার স্থান। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবদুল আলিম বলেন, ‘এক দিনে দোকান গেল নদীতে। এত বছর দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন পুরো পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরামে ১৯টি ও ফুলগাজীতে ১৭টিসহ মোট ৩৬টি স্থানে ভেঙেছে। তবে এত দিন জায়গাগুলো জলমগ্ন থাকায় সব ক্ষতি দেখা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে আমরা জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি। তবে টেকসই বাঁধ ও নদী খননের কাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।’
ফুলগাজী উপজেলার কমুয়া এলাকার খামারি মো. হারুন বলেন, ‘গত বছরের (২০২৪) বন্যায় আমার অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এবারও পানিতে ডুবে মুরগি মারা গেছে। মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। প্রতিবারই বাঁধ ভাঙে, তারপর সবাই আশ্বাস দেয়। এসব এলাকায় যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।’
জেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এবারের বন্যায় জেলার মৎস্য খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কৃষিতে ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ হেক্টর ফসলি জমি দুর্যোগে আক্রান্ত ও প্রাণিসম্পদে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে পুরোপুরি পানি নেমে যাওয়ার পরই ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তুলে ধরা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রায় প্রতিবছর বন্যার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর তদারকি চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল রসুল গোলাপ বলেন, ‘ফুলগাজীর মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ। নদীখনন, বাঁধের মেরামত আর সঠিক তদারকি না থাকলে আমাদের প্রতি বছর ডুবতে হবে।’
শনিবার (১২ জুলাই) ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। স্থানীয় লোকজন তাঁকে বলেছেন, ত্রাণ লাগবে না, শুধু বাঁধ দিন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘দুটোরই দরকার। এখন মানুষকে বাঁচাতে হবে ত্রাণ দিয়ে, পরে জীবন ও জীবিকার জন্য লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ।’
পরশুরামের ইউএনও আরিফুল ইসলাম জানান, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক কিছুই কম পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুকনো খাবার, গোখাদ্য ও শিশুখাদ্যের জন্য আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি ছিল। প্রাণহানি হয় ২৯ জনের। সব মিলিয়ে বন্যায় প্রায় ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়।
ফেনীর তিনটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে ফিরেও বেঁচে থাকার নতুন লড়াই করছে বন্যাদুর্গত হাজারো মানুষ। এসব এলাকায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করলেও এখনই বাড়ি ফেরার অবস্থা নেই। দুর্গত এলাকায় ঘরবাড়ির আঙিনায় কাদাপানি, ভাঙাচোরা আসবাব আর পচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ নেই।
এদিকে বাড়ি ফেরার অবস্থা না থাকায় কিছু লোক এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে দিন পার করছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত ৯ হাজার ১৯৫ জন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে। তবে ৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৮৮ পরিবারের ৩৬৫ মানুষ আছে।
ফুলগাজীর গজারিয়া গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার বলেন, ‘পানি নেমে গেছে, কিন্তু ঘরে ঢোকা যাচ্ছে না। মাটি, কাদা, পচা খাবারের গন্ধে শিশুরা অসুস্থ অনুভব করছে। আশ্রয়কেন্দ্রেও এখন তেমন কিছু নেই।’
ফুলগাজীর আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিয়া ইসলাম বলেন, ‘এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ পুনরায় চালু হয়নি। পানি নামলেও অনেক ঘর বসবাসযোগ্য নয়। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
এর আগে চলতি জুলাইয়ের ৮ তারিখ থেকে টানা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয় ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত হয়ে আসা পাহাড়ি ঢল। এতে জেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। প্লাবিত হয় ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এ সময় ১৩৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়, তবে এর মধ্যে ১২১টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই বন্যায় জেলায় কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ির আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসল, সড়ক, সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর সড়কে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১৫টি দোকান। ব্যবসায়ীরা এখনো নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে খোঁজেন তাঁদের জীবিকার স্থান। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবদুল আলিম বলেন, ‘এক দিনে দোকান গেল নদীতে। এত বছর দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালাতাম। এখন পুরো পরিবার নিয়ে চিন্তায় আছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরামে ১৯টি ও ফুলগাজীতে ১৭টিসহ মোট ৩৬টি স্থানে ভেঙেছে। তবে এত দিন জায়গাগুলো জলমগ্ন থাকায় সব ক্ষতি দেখা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে আমরা জরুরিভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছি। তবে টেকসই বাঁধ ও নদী খননের কাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে হবে।’
ফুলগাজী উপজেলার কমুয়া এলাকার খামারি মো. হারুন বলেন, ‘গত বছরের (২০২৪) বন্যায় আমার অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এবারও পানিতে ডুবে মুরগি মারা গেছে। মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। প্রতিবারই বাঁধ ভাঙে, তারপর সবাই আশ্বাস দেয়। এসব এলাকায় যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।’
জেলা কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এবারের বন্যায় জেলার মৎস্য খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কৃষিতে ৫ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৬১ হেক্টর ফসলি জমি দুর্যোগে আক্রান্ত ও প্রাণিসম্পদে ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে পুরোপুরি পানি নেমে যাওয়ার পরই ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ তুলে ধরা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রায় প্রতিবছর বন্যার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর তদারকি চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল রসুল গোলাপ বলেন, ‘ফুলগাজীর মানুষ এখন ত্রাণ চায় না, তারা চায় টেকসই বেড়িবাঁধ। নদীখনন, বাঁধের মেরামত আর সঠিক তদারকি না থাকলে আমাদের প্রতি বছর ডুবতে হবে।’
শনিবার (১২ জুলাই) ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। স্থানীয় লোকজন তাঁকে বলেছেন, ত্রাণ লাগবে না, শুধু বাঁধ দিন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘দুটোরই দরকার। এখন মানুষকে বাঁচাতে হবে ত্রাণ দিয়ে, পরে জীবন ও জীবিকার জন্য লাগবে টেকসই বেড়িবাঁধ।’
পরশুরামের ইউএনও আরিফুল ইসলাম জানান, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক কিছুই কম পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুকনো খাবার, গোখাদ্য ও শিশুখাদ্যের জন্য আরও ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি ছিল। প্রাণহানি হয় ২৯ জনের। সব মিলিয়ে বন্যায় প্রায় ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের।
৭ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের জন্য ২০২৫ সালের নির্বাচনের জন্য করা নীতিমালা অবিলম্বে স্থগিত ও সংশোধন না করলে নির্বাচনের কোনো কাভারেজ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
৭ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইসিকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাবন্দীর একটি তালিকা জুলাই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
৯ ঘণ্টা আগে