leadT1ad

গ্রেপ্তারের পরদিন র‍্যাব হেফাজতে থাকা আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সিলেট

স্ট্রিম গ্রাফিক

সিলেটে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেফাজতে থাকা তানভীর চৌধুরী নামে এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার মামলায় গত শনিবার সন্ধ্যায় জৈন্তাপুর উপজেলা এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরদিন ভোরে র‌্যাব কার্যালয়ের শৌচাগারে ভেন্টিলেটরের রডে কম্বল দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। র‌্যাবের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তানভীর গাজীপুরের কাশিমপুর উপজেলার সারদাগঞ্জ এলাকার বাবুল চৌধুরীর ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে পরিবারের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর নওগাঁ সদর উপজেলার কাঁঠালতলী মোড়ে স্ত্রী জুথি খাতুনকে (২২) ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তানভীর। বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ

তানভীরের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনাটি ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম সোহাগ। ওই ফুটেজের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, তিনি কম্বল গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এটি তার পরিবার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা দেখেছেন। পরে নিহতের স্বজন, পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’

শহিদুল ইসলাম জানান, নওগাঁ থানায় মামলার আসামি হওয়ায় তানভীরকে সেখানে পাঠানোর কথা ছিল। বিষয়টি ওই থানা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তবে হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেন।

সুরক্ষিত স্থানে এমন মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাবের কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

তানভীরকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল

র‌্যাব ও পুলিশ জানায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে তানভীরের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে নওগাঁ সদরের আনন্দনগর মৃধাপাড়ার ঝুন্টু প্রামাণিকের মেয়ে জুথির বিয়ে হয়। এর কয়েক মাস পর জুথি জানতে পারেন স্বামীর আরেক স্ত্রী আছেন। এ নিয়ে কলহ শুরু হলে জুথি বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে ভরণপোষণ পেতে আদালতে মামলা করেন তিনি।

গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি ছিল। ওইদিন সকালে আদালতে যাওয়ার পথে নওগাঁ সদরের কাঁঠালতলী মোড়ে জুথিকে ছুরিকাঘাত করে পালিযে যান তানভীর। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জুথির মা নওগাঁ সদর মডেল থানায় তানভীরকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে র‌্যাব-৯-সিলেট এবং র‌্যাব-৫-রাজশাহীর যৌথ দল গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জৈন্তাপুরের চৈলাখেল নিজপাট এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে তানভীরকে গ্রেপ্তার করে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত