স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল তৃতীয়বারের মতো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ১৩ দিন পেছানো হয়েছে ভোটগ্রহণের সময়। এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করেছে ছাত্রদল ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ দলের চাপে এবং সেই দলকে সুবিধা দিতে। এভাবে সময়ক্ষেপণ চলতে থাকলে নির্বাচন আদৌ হবে কিনা সেই আশঙ্কা তাদের। বিশেষ দল বলতে ছাত্রদলকেই ইঙ্গিত করছেন তাঁরা।
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, এটা একেবারে অযৌক্তিক হয়েছে। নির্বাচন সঠিক সময়ে (১৫ সেপ্টেম্বরেই) বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, এইভাবে যদি পেছাতে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা, সেটা একটা বিষয়। এটা নিশ্চয় কোনো একাটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এটা সবাই বুঝতে পারছে।
রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই আমরা বলছিলাম, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য হল থেকে একাডেমিক বিল্ডিংয়ে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর করার জন্য। যদিও তাঁরা আমাদের কথা প্রথম দিকে শোনেন নাই। পরে আমাদের আন্দোলনের কারণে তা মানতে বাধ্য হয়। নির্বাচন কমিশনের মধ্যে অদৃশ্য এক সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে। তাঁরা বারবার তফসিল পরিবর্তন করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। তারা তারিখ পরিবর্তন করে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করল। তারা যেসব কাজের যুক্তি দিয়ে নির্বাচন পেছালো তার জন্য সর্বোচ্চ ৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না। তার মানে কী আমরা ধরে নেবো, তারা নির্দিষ্ট একটা দলের দলীয় উদ্দেশ্য সার্ভ করছে?
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় সংগঠক আকিল বিন তালেব বলেন, গতকাল (২৬ আগস্ট) মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিলো, যাঁরা প্রকৃত প্রার্থী তারা কিন্তু মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। কিন্তু কোনোরকম যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। আবার ভোটগ্রহণের সময় ২৮ সেপ্টেম্বর করলো। আমরা এটাকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। কোনো একটা নির্দিষ্ট দলের চাপে পড়ে, নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই কাজ করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অন্যতম সংগঠক ফুয়াদুল ইসলাম ভূইয়া রাতুল বলেন, আমরা যথাসময়ে (১৫ সেপ্টেম্বর) রাকসু চাই। আমরা সেই তারিখ অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কোনো একটা একক সংগঠন যদি সেই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে তার দায় বাকি সংগঠনগুলো কেনো নেবে? ওই নির্দিষ্ট একটা সংগঠনের কারণে কেন রাকসু নির্বাচন পেছাবে? তাহলে তো পক্ষপাতিত্ব হয়ে গেলো। আমরাতো কোনো পক্ষপাত চাই না।
ছাত্রদল রাকসু নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহি বলেন, আমাদের ৫ দফা হলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মৌলিক বিষয় নিয়ে। আমরা আমাদের দাবির মাধ্যমে প্রশাসনের ভুলত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিয়েছি। আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। তাঁরা এটার যোগ্য। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র তাঁরা। আমরা যদি তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করি, তাহলে প্রশাসন তো আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হয়ে যায়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময় রাকসু ফি দিয়েছে। তাহলে তারা কেনো বঞ্চিত হবে?
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমাদের প্রথম বর্ষের ভাইয়েরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, সেখানে আমরা কীভাবে মনোনয়ন নিতে যাবো?
রাকসু নির্বাচন কমিশন কোনো একটি ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচনের সময়সূচি বারবার পেছাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কারো দাবির কারণে সময়সূচি পরিবর্তন করিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সময়সূচি পরিবর্তন করা প্রয়োজন মনে হওয়ায় আমরা এটি পরিবর্তন করেছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল তৃতীয়বারের মতো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ১৩ দিন পেছানো হয়েছে ভোটগ্রহণের সময়। এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করেছে ছাত্রদল ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একটি বিশেষ দলের চাপে এবং সেই দলকে সুবিধা দিতে। এভাবে সময়ক্ষেপণ চলতে থাকলে নির্বাচন আদৌ হবে কিনা সেই আশঙ্কা তাদের। বিশেষ দল বলতে ছাত্রদলকেই ইঙ্গিত করছেন তাঁরা।
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, এটা একেবারে অযৌক্তিক হয়েছে। নির্বাচন সঠিক সময়ে (১৫ সেপ্টেম্বরেই) বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, এইভাবে যদি পেছাতে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কিনা, সেটা একটা বিষয়। এটা নিশ্চয় কোনো একাটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এটা সবাই বুঝতে পারছে।
রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই আমরা বলছিলাম, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য হল থেকে একাডেমিক বিল্ডিংয়ে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর করার জন্য। যদিও তাঁরা আমাদের কথা প্রথম দিকে শোনেন নাই। পরে আমাদের আন্দোলনের কারণে তা মানতে বাধ্য হয়। নির্বাচন কমিশনের মধ্যে অদৃশ্য এক সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে। তাঁরা বারবার তফসিল পরিবর্তন করছে। ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। তারা তারিখ পরিবর্তন করে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করল। তারা যেসব কাজের যুক্তি দিয়ে নির্বাচন পেছালো তার জন্য সর্বোচ্চ ৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না। তার মানে কী আমরা ধরে নেবো, তারা নির্দিষ্ট একটা দলের দলীয় উদ্দেশ্য সার্ভ করছে?
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় সংগঠক আকিল বিন তালেব বলেন, গতকাল (২৬ আগস্ট) মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিলো, যাঁরা প্রকৃত প্রার্থী তারা কিন্তু মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। কিন্তু কোনোরকম যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। আবার ভোটগ্রহণের সময় ২৮ সেপ্টেম্বর করলো। আমরা এটাকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। কোনো একটা নির্দিষ্ট দলের চাপে পড়ে, নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই কাজ করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অন্যতম সংগঠক ফুয়াদুল ইসলাম ভূইয়া রাতুল বলেন, আমরা যথাসময়ে (১৫ সেপ্টেম্বর) রাকসু চাই। আমরা সেই তারিখ অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কোনো একটা একক সংগঠন যদি সেই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে তার দায় বাকি সংগঠনগুলো কেনো নেবে? ওই নির্দিষ্ট একটা সংগঠনের কারণে কেন রাকসু নির্বাচন পেছাবে? তাহলে তো পক্ষপাতিত্ব হয়ে গেলো। আমরাতো কোনো পক্ষপাত চাই না।
ছাত্রদল রাকসু নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহি বলেন, আমাদের ৫ দফা হলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মৌলিক বিষয় নিয়ে। আমরা আমাদের দাবির মাধ্যমে প্রশাসনের ভুলত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিয়েছি। আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। তাঁরা এটার যোগ্য। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র তাঁরা। আমরা যদি তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করি, তাহলে প্রশাসন তো আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হয়ে যায়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময় রাকসু ফি দিয়েছে। তাহলে তারা কেনো বঞ্চিত হবে?
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমাদের প্রথম বর্ষের ভাইয়েরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, সেখানে আমরা কীভাবে মনোনয়ন নিতে যাবো?
রাকসু নির্বাচন কমিশন কোনো একটি ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচনের সময়সূচি বারবার পেছাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কারো দাবির কারণে সময়সূচি পরিবর্তন করিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সময়সূচি পরিবর্তন করা প্রয়োজন মনে হওয়ায় আমরা এটি পরিবর্তন করেছি।
ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
২৩ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর আপিল শুনানির মাধ্যমে ১৫ জন শিক্ষার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ১৩ দিন পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ঘোষিত তারিখ বহাল রাখাতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।
১ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কবে থেকে কার্যকর হবে, এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে