leadT1ad

পাবনার সেই অস্ত্রধারী জামায়াতের কর্মী, অস্বীকার দলটির

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
পাবনা

পাবনার ঈশ্বরদীতে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে যুবক। ছবি সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারে হামলার পর বিএন‌পির সঙ্গে সংঘর্ষে গুলি ছুড়তে দেখা যুবকের নাম তুষার মণ্ডল। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া এলাকার তাহের মণ্ডলের ছেলে।

পাবনা-৪ আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের বাড়িও ভেলুপাড়া। তাঁর ভাতিজা মামুন মণ্ডলের সহযোগী তুষার এবং সব সময় তালেব মণ্ডলের সঙ্গে তাঁকে দেখা যায়।

আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভেলুপাড়ার স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ছ‌বি দেখে গু‌লিবর্ষণকারীকে তুষার মণ্ডল বলে চিহ্নিত করেছেন। সামাজিকমাধ্যমে ছ‌বি আসার পর থেকে তুষার পলাতক। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন কথা বলতে রাজি হননি। জামায়াত কর্মী হিসেবে তুষারকে স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেননি তারা।

সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবককে তুষার মণ্ডল (ডানে গোল চিহ্নিত) বলে স্থানীয়রা চিহ্নিত করেছেন, বামে জামায়াত প্রার্থীর ভাতিজা মামুন মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত
সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবককে তুষার মণ্ডল (ডানে গোল চিহ্নিত) বলে স্থানীয়রা চিহ্নিত করেছেন, বামে জামায়াত প্রার্থীর ভাতিজা মামুন মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমাদের কোনো কর্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না। আমরা গ্রামটিতে গণসংযোগে গিয়েছিলাম। আমাদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে।’

পাবনা-৪ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমানকে দল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। একই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন জেলা আমির আবু তালেব মণ্ডল। ঈশ্বরদীর চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েকদিন ধরে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুদিন আগে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে জামায়াতের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে গেলে হামলা চালায় বিএনপির কর্মীরা। উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সাদা টি-শার্ট ও জিনসের প্যান্ট পরা এক যুবক ডান হাতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়ছেন।

এ ব্যাপারে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধা বলেন, ‘গুলি চালানো যুবকের নাম তুষার। তিনি জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তাঁর গুলিতে বিএনপির কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আবদুর নূর বলেন, দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত