leadT1ad

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া কিছু অর্থ ফেরত আসতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

গেল ষোলো বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

গেল ষোলো বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কত পরিমাণ অর্থ আনা হবে, তা নিয়ে কোনো আভাস দেননি তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পাচার করা টাকা ফেরত আনতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এ কাজে অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছি।

তিনি বলেন, ‘এই ফরমালিটি কোনো সরকার এভয়েড করতে পারবে না। মনে করুন, আমি বললাম টাকা দিয়ে দাও সেন্ট্রাল ব্যাংকে, সুইস ব্যাংকে বলে দিলাম টাকা দিয়ে দাও, দেবে না তো। ওটা আপনার লিগ্যাল ওয়েতে যেতে হবে, সেটা তো আমরা অলরেডি…।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, ১১-১২টি ঘটনা আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখছি। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরকে ধরা হচ্ছে।’

নতুন সরকার ধারাবাহিকতা রাখবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘রাখতে তারা বাধ্য। কারণ যে প্রসেসগুলো আমরা চালু করেছি, সেটা চালু না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। ওরা যদি বসে থাকে, ফেরত আসবে না। আর যদি আনতে হয়, এই প্রসেসগুলো মেইনটেন করতে হবে। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা ছাড়া কীভাবে আনবে।’

কী পরিমাণ টাকা ফেরত আনা সম্ভব হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারবো না। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রশ্ন করুন।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যে কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় হিসাব আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে, সেই তথ্যও আছে। এখন বাকি কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’

কোনো কোনো উপদেষ্টা নিজের এলাকায় বেশি বরাদ্দ দিচ্ছেন—অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘না, না। প্রকল্পগুলো বহু আগের তৈরি করা।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারই পুষ্টিহীনতায় বা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কিছুটা পুষ্টির ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু ও মায়েদের মধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের খাদ্য সুষম নয়। চালের ওপর বেশি নির্ভর করি। কিছু আমিষ দরকার। এ জন্য ডিম সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত