দুপুরের পর থেকেই বুড়িগঙ্গার পাড়ে বাড়তে শুরু করে মানুষের ভিড়। নানা পেশার, নানা বয়সী এসব মানুষ এসেছেন দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে। এই বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
দুপুরের পর থেকেই বুড়িগঙ্গার পাড়ে বাড়তে শুরু করে মানুষের ভিড়। নানা পেশার, নানা বয়সী এসব মানুষ এসেছেন দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে। এই বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে ‘আসছে বছর আবার হবে’ আশায় বুক বেঁধেছেন ভক্তরা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ওয়াইজঘাটে বিকেল থেকে বিসর্জন শুরু হয়। ঢাকা মহানগরের প্রায় দুইশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় এই ঘাটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং যুবকরা ভিড় করেছেন ওয়াইজঘাটে। নদীর পাড় ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। ঘাট থেকে প্রতিমাগুলো নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে মাঝ নদীতে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শুরু হয় দশমী বিহিত পূজা। পূজার পর দুর্গাকে সিঁদুর দেওয়ার মাধ্যমে নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন। সিঁদুর খেলার পরই বিসর্জনের আয়োজন শুরু হয়। বিসর্জনের আগে বিকাল তিনটা থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা পালন করেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। মণ্ডপের প্রতিমাগুলো ট্রাক-পিকাপে তুলে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ওয়াইজঘাটে নিয়ে আসতে শুরু করেন ভক্তরা।
রাজধানীর টিকাটুলি থেকে এসেছেন শুভ। ইয়াংস্টারস পূজা কমিটির এই সদস্য স্ট্রিমকে বলেন, ‘মা দুর্গা হলেন নারী শক্তির একটা রূপ। নারীরা যে শক্তিশালী, সেটা দুর্গা মায়ের আগমনে আমরা বুঝতে পারি।’
শুভ আরও বলেন, ‘আজ মায়ের বিসর্জন হচ্ছে। এই বিসর্জনে আমরা শুধু দুর্গার প্রতিমা ভাসিয়ে দিচ্ছে, তা না। বরং রাগ, ক্ষোভ, লালসার মতো নেতিবাচক প্রবৃত্তিগুলোও বিসর্জন করি। এটাই বিসর্জনের শিক্ষা।'
ওয়ারীর রাজধানী মার্কেট এলাকা থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেছেন রমনা। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘গত ৯ দিন আমরা মায়ের পূজা করেছি। অনেক আনন্দ করেছি। আজ মাকে বিদায় দিলাম। এই দিনটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখের।’
রমনা আরও বলেন, ‘মায়ের বিদায়ে আমরা কাঁদি কিন্তু আনন্দ করে, নেচে-গেয়ে তাঁকে বিদায় দেই। আগামী বছর মা আবার আসবেন, সে আশায় থাকি।'
বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটে স্ত্রী, মেয়ে ও নাতিদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দুলাল দাস। তিনি এসেছেন রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে। স্ট্রিমকে দুলাল বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেয়ে, নাতি-পুতিরা সব একত্রিত হইছি। নাতিগুলো খুব আনন্দ করলো। ওদের আনন্দ দেখে ভালো লাগে।’
দুলাল আরও বলেন, ‘আজকের পর থেকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। এর মধ্যে কে বাঁচে কে মরে, তার ঠিক নাই। বেঁচে থাকলে আবার মায়ের আগমনে আনন্দ করবো। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবো।’
বুড়িগঙ্গার পাড়ে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করতে মাইকে দিক-নির্দেশনাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সংগঠন দু’টির নেতাকর্মীদের।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কোতোয়ালী থানার সদস্যসচিব সুজন মণ্ডল স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিসর্জন কার্যক্রম যেন ঠিক মতো শেষ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই সেজন্য করছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত হয়েছেন। ফলে উৎসবমুখর পরিবেশেই বিসর্জন চলছে।’
কখন বিসর্জন শেষ হতে পারে এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘এই ঘাটে দেড় থেকে দুইশটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। কত সময় লাগবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে গত কয়েক বছর যা দেখেছি, অনেক সময় পরের দিন ভোর হয়ে যায় বিসর্জন শেষ হতে হতে।’
দুপুরের পর থেকেই বুড়িগঙ্গার পাড়ে বাড়তে শুরু করে মানুষের ভিড়। নানা পেশার, নানা বয়সী এসব মানুষ এসেছেন দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে। এই বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে ‘আসছে বছর আবার হবে’ আশায় বুক বেঁধেছেন ভক্তরা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর সদরঘাট এলাকার ওয়াইজঘাটে বিকেল থেকে বিসর্জন শুরু হয়। ঢাকা মহানগরের প্রায় দুইশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় এই ঘাটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং যুবকরা ভিড় করেছেন ওয়াইজঘাটে। নদীর পাড় ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। ঘাট থেকে প্রতিমাগুলো নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে মাঝ নদীতে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শুরু হয় দশমী বিহিত পূজা। পূজার পর দুর্গাকে সিঁদুর দেওয়ার মাধ্যমে নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন। সিঁদুর খেলার পরই বিসর্জনের আয়োজন শুরু হয়। বিসর্জনের আগে বিকাল তিনটা থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা পালন করেন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। মণ্ডপের প্রতিমাগুলো ট্রাক-পিকাপে তুলে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ওয়াইজঘাটে নিয়ে আসতে শুরু করেন ভক্তরা।
রাজধানীর টিকাটুলি থেকে এসেছেন শুভ। ইয়াংস্টারস পূজা কমিটির এই সদস্য স্ট্রিমকে বলেন, ‘মা দুর্গা হলেন নারী শক্তির একটা রূপ। নারীরা যে শক্তিশালী, সেটা দুর্গা মায়ের আগমনে আমরা বুঝতে পারি।’
শুভ আরও বলেন, ‘আজ মায়ের বিসর্জন হচ্ছে। এই বিসর্জনে আমরা শুধু দুর্গার প্রতিমা ভাসিয়ে দিচ্ছে, তা না। বরং রাগ, ক্ষোভ, লালসার মতো নেতিবাচক প্রবৃত্তিগুলোও বিসর্জন করি। এটাই বিসর্জনের শিক্ষা।'
ওয়ারীর রাজধানী মার্কেট এলাকা থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেছেন রমনা। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘গত ৯ দিন আমরা মায়ের পূজা করেছি। অনেক আনন্দ করেছি। আজ মাকে বিদায় দিলাম। এই দিনটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখের।’
রমনা আরও বলেন, ‘মায়ের বিদায়ে আমরা কাঁদি কিন্তু আনন্দ করে, নেচে-গেয়ে তাঁকে বিদায় দেই। আগামী বছর মা আবার আসবেন, সে আশায় থাকি।'
বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটে স্ত্রী, মেয়ে ও নাতিদের নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দুলাল দাস। তিনি এসেছেন রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে। স্ট্রিমকে দুলাল বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেয়ে, নাতি-পুতিরা সব একত্রিত হইছি। নাতিগুলো খুব আনন্দ করলো। ওদের আনন্দ দেখে ভালো লাগে।’
দুলাল আরও বলেন, ‘আজকের পর থেকে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। এর মধ্যে কে বাঁচে কে মরে, তার ঠিক নাই। বেঁচে থাকলে আবার মায়ের আগমনে আনন্দ করবো। পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবো।’
বুড়িগঙ্গার পাড়ে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করতে মাইকে দিক-নির্দেশনাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সংগঠন দু’টির নেতাকর্মীদের।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কোতোয়ালী থানার সদস্যসচিব সুজন মণ্ডল স্ট্রিমকে বলেন, ‘বিসর্জন কার্যক্রম যেন ঠিক মতো শেষ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই সেজন্য করছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত হয়েছেন। ফলে উৎসবমুখর পরিবেশেই বিসর্জন চলছে।’
কখন বিসর্জন শেষ হতে পারে এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘এই ঘাটে দেড় থেকে দুইশটি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। কত সময় লাগবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে গত কয়েক বছর যা দেখেছি, অনেক সময় পরের দিন ভোর হয়ে যায় বিসর্জন শেষ হতে হতে।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আহমদ রফিকের দেখাশুনা করার দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম স্ট্রিম জানান, বারডেম হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় আহমদ রফিক আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্ট্রোক করেন। দশটার পর চিকিৎকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৮ মিনিট আগেস্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি বহুজাতি ও বহু সংস্কৃতির দেশ। এই বৈচিত্র্য শক্তি, বিভেদের কারণ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা শুধু পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের জন্য অপরিহার্য।’
৪৩ মিনিট আগেগত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৩৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা স্ট্রিমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগে