স্ট্রিম প্রতিবেদক

অবশেষে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবন-৪-এ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সচিবালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দিনটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের স্বতন্ত্র সচিবালয় স্থাপিত হলো। এই সচিবালয় আইন করার জন্য বিগত দুই-তিন দশক যাবৎ বিভিন্ন রকম চেষ্টা করা হলেও আগে তা সম্ভব হয়নি।’
অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা আগে সব সময় শুনতেন যে অধস্তন আদালত বা ট্রায়াল কোর্টগুলোতে রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রীরা, বিশেষ করে আইনমন্ত্রীরা খবরদারি করতেন। কে জামিন পাবেন, কী রায় হবে, কোন মামলা আগে শুনানি হবে, বিচারকদের পোস্টিং, পদোন্নতি, বদলি—সমস্ত কিছু রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এখন আর এই রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে না। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সচিবালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।’ এই সচিবালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আর্থিক স্বাধীনতাও অর্জন করল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে নতুন এই যাত্রায় বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও দায়বদ্ধতার ওপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ২৬ বছরের দীর্ঘ যাত্রার পর এই প্রাপ্তিকে ‘ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা, বিচারকার্য ও বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করা—সবকিছু এখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়ে গেল। আজকে এই শুভ সূচনা হলো। দুটি কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম এখন প্রতিদিন চলমান থাকবে।’
প্রধান বিচারপতি আগামীতে নির্বাচিত সরকার ও সব অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) প্রতি এই সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মূল স্পিরিট বা চেতনা হলেও দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নীতিগতভাবে হলেও প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে তা আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। গত বছরের (২০২৪) ২৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে পৃথক সচিবালয় গঠনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করে, যা আজ বাস্তবিক রূপ পেল।

অবশেষে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবন-৪-এ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সচিবালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দিনটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের স্বতন্ত্র সচিবালয় স্থাপিত হলো। এই সচিবালয় আইন করার জন্য বিগত দুই-তিন দশক যাবৎ বিভিন্ন রকম চেষ্টা করা হলেও আগে তা সম্ভব হয়নি।’
অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা আগে সব সময় শুনতেন যে অধস্তন আদালত বা ট্রায়াল কোর্টগুলোতে রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রীরা, বিশেষ করে আইনমন্ত্রীরা খবরদারি করতেন। কে জামিন পাবেন, কী রায় হবে, কোন মামলা আগে শুনানি হবে, বিচারকদের পোস্টিং, পদোন্নতি, বদলি—সমস্ত কিছু রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এখন আর এই রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে না। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সচিবালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।’ এই সচিবালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আর্থিক স্বাধীনতাও অর্জন করল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে নতুন এই যাত্রায় বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও দায়বদ্ধতার ওপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ২৬ বছরের দীর্ঘ যাত্রার পর এই প্রাপ্তিকে ‘ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা, বিচারকার্য ও বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করা—সবকিছু এখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়ে গেল। আজকে এই শুভ সূচনা হলো। দুটি কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম এখন প্রতিদিন চলমান থাকবে।’
প্রধান বিচারপতি আগামীতে নির্বাচিত সরকার ও সব অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) প্রতি এই সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মূল স্পিরিট বা চেতনা হলেও দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নীতিগতভাবে হলেও প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে তা আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। গত বছরের (২০২৪) ২৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে পৃথক সচিবালয় গঠনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করে, যা আজ বাস্তবিক রূপ পেল।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৫ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগের কথা জানান সচিব।
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ জন নিবন্ধন করেছেন। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা এসব ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৪ ও নারী ২৩ হাজার ২৬৩ জন।
২৮ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিচারের বদলে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশ ও শিক্ষক সংগঠনের একটি পক্ষ সাবেক ভিসিকে বাঁচাতে তৎপর।
৩৫ মিনিট আগে