leadT1ad

আবারও চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, প্রো-ভিসি, প্রক্টর আহত

রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাঝোতা করতে গেলে তাঁদের ওপর আবারও হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ও প্রক্টর ছাড়াও এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৩৭
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ২৪
গ্রামবাসীর হামলায় আহত প্রক্টর (বামে) ও উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি)। ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর আবারও হামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় হামলা থামাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো ভিসি) ও প্রক্টর আহত হয়েছেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাঝোতা করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে চবি মেডিকেলে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত প্রায় ৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর হয়েছে। দুপুর দুটিার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ানের মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয়রা। উত্তেজনার এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে শনিাবর রাতের ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে রবিবার সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

শনিবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছাত্রীকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দারোয়ান গিয়ে এলাকাবাসীকে ডেকে আনেন। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান স্ট্রিমকে বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিয়েচ্ছি। যাঁদের অবস্থা খুবই গুরুতর, আমরা তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত