স্ট্রিম প্রতিবেদক
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর ৩ লাখের বেশি রাউন্ড গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন গণহত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তদন্ত এ কর্মকর্তা। আজ তিনি দ্বিতীয় দিনের মত জবানবন্দি দেন।
এর আগে, রোববার প্রথম দিনের জবানবন্দি দেন প্রসিকিউশনের এই ৫৪তম সাক্ষী। আজ জবানবন্দি গ্রহণ অসমাপ্ত অবস্থায় শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার তদন্তকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্মারকমূলে চিঠির মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন দমনে ছাত্রজনতার ওপর ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি সংক্রান্ত ২২৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাই। তাতে দেখা যায়, এলএনজি, চাইনিজ রাইফেল, শর্টগান, রিভলবার, পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে শুধু ঢাকা শহরে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড ও সারা দেশে ৩ লাখ ৫ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন পাই। এছাড়া র্যাব সদর দপ্তর হতে গত ১৪ জানুয়ারি হেলিকপ্টার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাই। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আনজুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক গত ৭ মে ৮১ জন অজ্ঞাতনামা লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাই।’
তদন্ত কর্মকর্তা জবানন্দিতে বলেন, ‘তদন্তকালে সংগৃহীত, জব্দকৃত আলামত পত্রপত্রিকার ভিডিও ফুটেজ, অডিও ক্লিক, বই পুস্তক, বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট, বিভিন্ন প্রতিবেদন, শহীদ পরিবারের সদস্য, জখমি, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের জবানবন্দি, আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত পর্যালোচনা করি। পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও আইজি মামুন গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাপক মাত্রায় আন্দোলন দমনে শান্তিপূর্ণ ছাত্রজনতার ওপরে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ করেন। প্ররোচনা, সম্পৃক্ততা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেড় সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে জখম, অঙ্গহানি, বেআইনি আটক, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, অপহরণ, জীবিত ও মৃতকে একত্র করে পুড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসা, জানাজা, দাফন ও শেষকৃত্যে বাধা, মৃত্যুর কারণ পরিবর্তনে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া, আসামিরা নিহতদের মৃতদেহ পরিবারকে শনাক্তের সুযোগ না দিয়ে, বেওয়ারিশ আখ্যা দিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনে বাধ্য করা, আন্দোলনকারী ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন।’
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর ৩ লাখের বেশি রাউন্ড গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন গণহত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তদন্ত এ কর্মকর্তা। আজ তিনি দ্বিতীয় দিনের মত জবানবন্দি দেন।
এর আগে, রোববার প্রথম দিনের জবানবন্দি দেন প্রসিকিউশনের এই ৫৪তম সাক্ষী। আজ জবানবন্দি গ্রহণ অসমাপ্ত অবস্থায় শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার তদন্তকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্মারকমূলে চিঠির মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন দমনে ছাত্রজনতার ওপর ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি সংক্রান্ত ২২৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাই। তাতে দেখা যায়, এলএনজি, চাইনিজ রাইফেল, শর্টগান, রিভলবার, পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে শুধু ঢাকা শহরে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড ও সারা দেশে ৩ লাখ ৫ হাজার ১১ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন পাই। এছাড়া র্যাব সদর দপ্তর হতে গত ১৪ জানুয়ারি হেলিকপ্টার ব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাই। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আনজুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক গত ৭ মে ৮১ জন অজ্ঞাতনামা লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাই।’
তদন্ত কর্মকর্তা জবানন্দিতে বলেন, ‘তদন্তকালে সংগৃহীত, জব্দকৃত আলামত পত্রপত্রিকার ভিডিও ফুটেজ, অডিও ক্লিক, বই পুস্তক, বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট, বিভিন্ন প্রতিবেদন, শহীদ পরিবারের সদস্য, জখমি, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের জবানবন্দি, আইজিপি মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত পর্যালোচনা করি। পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও আইজি মামুন গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাপক মাত্রায় আন্দোলন দমনে শান্তিপূর্ণ ছাত্রজনতার ওপরে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ করেন। প্ররোচনা, সম্পৃক্ততা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেড় সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে জখম, অঙ্গহানি, বেআইনি আটক, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, অপহরণ, জীবিত ও মৃতকে একত্র করে পুড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসা, জানাজা, দাফন ও শেষকৃত্যে বাধা, মৃত্যুর কারণ পরিবর্তনে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া, আসামিরা নিহতদের মৃতদেহ পরিবারকে শনাক্তের সুযোগ না দিয়ে, বেওয়ারিশ আখ্যা দিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনে বাধ্য করা, আন্দোলনকারী ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন।’
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৫ টাকা বেড়েছে।
২৭ মিনিট আগেবেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে শিক্ষকবহির্ভূত অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা আর একচ্ছত্রভাবে পরিচালনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং কমিটির কাছে থাকছে না। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের চৌগাছায় গ্রেপ্তারের পর বন্দুকযুদ্ধ সাজিয়ে ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গুলির ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২ ঘণ্টা আগেসাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) তৌফিকা করিম এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১১৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ ঘণ্টা আগে