leadT1ad

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ: আমাদের প্যানেল গঠিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের নিয়ে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ২২
স্ট্রিম গ্রাফিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের নাম 'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ'। প্যানেলে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকে রয়েছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ নিয়ে গঠিত এই প্যানেল রাজনৈতিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কার সংবলিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তবে বাগছাসের কয়েকজন সদস্য বেরিয়ে যাওয়া এবং প্রচারণায় ঘাটতির জন্য প্যানেলটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। তা সত্ত্বেও, প্যানেলের প্রার্থীরা অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁদের সক্রিয় ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনের বিষয়ে আশাবাদী।

প্যানেলের মতাদর্শ

প্যানেলটির মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্যারিয়ার ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমাদের প্যানেল গঠিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের নেতার মধ্য দিয়ে, যাঁরা বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদেরকে নিয়ে এই প্যানেল গঠিত হয়েছে। মতাদর্শিকভাবে আমরা অবশ্যই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদীব্যবস্থার বিলোপ চাই। নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিশ্বাস করি, যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আবার একই সঙ্গে অধিকার এবং দায়িত্ব সচেতন শিক্ষার্থী এবং নাগরিক তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে।’

বাগছাস সদস্যদের প্যানেল ত্যাগ

বাগছাসের অনেকেই এই প্যানেল থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র বা অন্য প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন। এটি তাঁদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ান বলেন, ‘প্রভাব কিছুটা ফেলছে। এটা সত্যি। যেহেতু নতুন সংগঠন হিসেবে আমরা একটি প্যানেল দিয়েছি এবং যারা বের হয়ে গেছে, তাঁরাও গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাই তাঁদের শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন আছে। এবং আবার প্যানেলেরও বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ আছে। এই সব কিছু কৌশলের একত্রে করতে প্যানেলটি করা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁরা যদি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে, তাঁদের প্রতি আমাদের সাধুবাদ থাকবে।’

শিক্ষার্থীরা অন্যান্য প্যানেল থেকে এই প্যানেলকে আলাদা করবে কীভাবে

অন্যান্য প্যানেল থেকে এই প্যানেলকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে আলাদা করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ান বলেন, ‘দুইটা দিক থেকে আলাদা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এক, আমাদের পূর্ববর্তী কার্যক্রমগুলো দিয়ে। আমাদের এই প্যানেলের ম্যাক্সিমাম শিক্ষার্থী ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই ও গণরুম-গেস্টরুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-প্রতিবাদে সক্রিয় ছিল….আর দ্বিতীয়ত, আমাদের এই যে পদভিত্তিক, মানে সম্পাদকীয় পোস্টগুলো বিশেষ করে, সেখানে প্রতিটা সম্পাদকেরই আপনি যদি পোর্টফোলিও চেক করেন, তারা সেই পোস্টের সঙ্গে এলাইন্ড। আপনি আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের বিষয়টি দেখেন, তিনি ক্যাম্পাসের সাহিত্য সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটা ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন এবং আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সাথে জড়িত ছিলেন। সেটা শুধু ৫ই আগস্টের পরে না, ৫ই আগস্টের আগেও।’

শিক্ষার্থীদের চোখে প্যানেলটির শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা

রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান আলিফ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি আসলে প্যানেলের সবাইকে সেরকম চিনি না। কাদের ভাইকে চিনি। আবু বাকের মজুমদারকে চিনি। তো এই দুজনের মধ্যে আমার কাছে আবু বাকের মজুমদারকে মোটামুটি যোগ্য মনে হইসে ওই পদের (জিএস) জন্য। তাঁর কথাবার্তার স্মার্টনেস ভালো লাগছে আমার কাছে। বাকি যাঁরা আছে প্যানেলে, তাঁদেরও সেইরকম কোনো কিছু পাই নাই যে মনে রাখা যাবে। বাগছাসের থাকার কথা ছিল সব থেকে ওপরে। কারণ, তারা নেতৃত্ব দিছিল জুলাই বিপ্লবে। কিন্তু তাঁরা তাদের অবস্থানটা ইতিমধ্যে হারায় ফেলছে এই কয়েক মাসের মধ্যে। যার কারণে এখন তাঁরা সেরকম আলোচনাতেই নাই।’

আলিফ আরও বলেন, ‘এটা হইতে পারে, মূলধারার যে দলগুলো আছে, ছাত্রদল, শিবির—এরা হয়তো বেশি সাপোর্ট জোগাড় করতে পারতেছে তাদের মাদার সংগঠন থেকে। যেই কারণে তারা বেশি লাইমলাইটে আসতেছে।’

বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি পিয়া শিকদার স্ট্রিমকে বলেন, ‘অন্যান্য প্যানেলের তুলনায় বাগছাসের প্যানেলটাকে আমার কম্পারেটিভলি উইক মনে হয়েছে। কারণ, তাদের তুলনামূলক প্রচারণা কম দেখেছি অন্যান্য প্যানেলের তুলনায়। আমি শেষ মুহূর্তে এসেও বাগছাসের প্যানেল থেকে জেতার মতো কাউকে পাচ্ছি না। শক্তির দিক থেকে তাঁদের অনেক পটেনশিয়াল ছিল। কিন্তু তাঁরা সেটাকে ব্যবহার করতে পারেনি।’

কী আছে ইশতেহারে

১. রাজনৈতিক সংস্কার: প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ক্যাডারভিত্তিক ও অস্ত্রের রাজনীতির অবসান ঘটানো হবে। বিগত আমলের সব ছাত্র নির্যাতন ও নিপীড়নের বিচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখা হবে।

২. একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ: ‘৭৩-এর অধ্যাদেশ সংস্কার করে উপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষ নিয়োগে স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন; একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভর্তি, বেতন, পরীক্ষার ফলাফলসহ সব প্রশাসনিক সেবা পেপারলেস ও সহজ করা হবে।

৩. স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার: ‘ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস’ ব্যবস্থার মাধ্যমে সব সেবা একত্রিত করা এবং ‘এক শিক্ষার্থী, এক সিট’ নীতিতে আবাসন সংকট দূর করা হবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে সুদবিহীন ল্যাপটপ লোনের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

৪. স্টুডেন্ট ডিগনিটি: পোশাক, আঞ্চলিকতা, ধর্ম বা পরিচয়ের ভিত্তিতে যেকোনো ধরনের বৈষম্য বা হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিসত্তা ও মাদ্রাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করা হবে।

৫. ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি: স্টারলিংক ও এডুরোমের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এবং ই-লাইব্রেরি চালুর ব্যাপারেও বলা হয়েছে।

৬. ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট: কেন্দ্রীয় ক্যারিয়ার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নির্বাচন ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ তৈরি করার কথা রয়েছে ইশতেহারে। হলে বসে আউটসোর্সিং ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

৭. কালচারাল ও স্পোর্টস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংরক্ষণে জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি, প্রতি হলের টিভি রুমকে মিনি সিনেপ্লেক্সে রূপান্তর এবং আধুনিক জিমনেসিয়াম স্থাপনসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

৮. নারী: নারী হলগুলোতে খেলাধুলা ও জিমনেসিয়ামের সুবিধা বাড়ানো হবে এবং ক্যাম্পাসের কমন স্পেসগুলো নারীবান্ধব করা হবে। সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষার জন্য ‘বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল’ এবং লিঙ্গভিত্তিক হয়রানি প্রতিরোধে একটি সমতা নিশ্চয়ন কমিটি গঠন করা হবে।

প্রার্থী হিসেবে কারা রয়েছেন-

১। সহসভাপতি: আব্দুল কাদের, ২০১৮-১৯ সেশন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল।

২। সাধারণ সম্পাদক: মো: আবু বাকের মজুমদার, ২০১৯-২০ সেশন, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ফপজলুল হক মুসলিম হল।

৩। সহসাধারণ সম্পাদক: আশরেফা খাতুন, ২০১৮-১৯ সেশন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, শামসুন নাহার হল।

৪। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: আহাদ বিন ইসলাম শােয়েব, ২০১৯-২০ সেশন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।

৫। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: মিতু আক্তার, ২০১৮-১৯ সেশন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, রোকেয়া হল।

৬। আন্তর্জাতিক সম্পাদক: মোহাম্মদ সাকিব, ২০২১-২২ সেশন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল।

৭। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মোহাম্মদ নাহিয়ান ফারুক, ২০১৮-১৯ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, স্যার এ এফ রহমান হল।

৮। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বির সম্মানে এই পদটি শূন্য রেখে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে প্যানেলটি।

৯। ক্রীড়া সম্পাদক: মো. আল আমিন (সরকার), ২০১৯-২০ সেশন, ইংরেজী বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।

১০। ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: মো. ঈসমাইল হোসেন (রুদ্র), ২০২০-২১ সেশন, দর্শন বিভাগ, কবি জসীম উদ্দীন হল।

১১। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: রেজোয়ান আহম্মেদ রিফাত, ২০২০-২১ সেশন, আইন বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।

১২। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: সাব্বির আহমেদ, ২০১৮-১৯ সেশন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল।

১৩। মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক: আনিকা তাহসিনা, ২০২০-২১ সেশন, আইন বিভাগ, রোকেয়া হল।

১৪। সমাজসেবা সম্পাদক: মহির আলম , ২০১৮-১৯ সেশন, গণিত বিভাগ, অমর একুশে হল।

এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন-

১। মো মাসউদুজ্জমান, ২০২০-২১ সেশন, দর্শন বিভাগ, শেখ মুজিবুর রহমান হল।
২। ফেরদৌস আইয়াম (রাইয়ান), ২০২১-২২ সেশন, ফার্মেসি বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল।
৩। ইসমাঈল, ২০২১-২২ সেশন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
৪। তাপসী রাবেয়া, ২০২১-২২ সেশন, আইন বিভাগ, রোকেয়া হল।
৫। আরমানুল ইসলাম, ২০২২-২৩ সেশন, অর্থনীতি বিভাগ, সূর্যসেন হল।
৬। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ২০২০-২১ সেশন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল।
৭। রিফতি আল জাবেদ, ২০২০-২১ সেশন, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, রোকেয়া হল।
৮। আশরাফুল আলম, ২০২০-২১ সেশন, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল।
৯। রওনক জাহান, ২০২০-২১ সেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল।
১০। মাহফুজা নাওয়ার নওরীন, ২০২০-২১ সেশন, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, রোকেয়া হল।
১১। নুরুল ইসলাম নাহিদ, ২০২১-২২ সেশন, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কবি জসীম উদদীন হল।
১২। আরিফুর রহমান, ২০২০-২১ সেশন, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল।
১৩। ফেরদৌস আলম, ২০২০-২১ সেশন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, অমর একুশে হল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত