সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য সুরক্ষা ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তা নিশ্চিত করা হবে। তাই বিচার প্রক্রিয়া অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলীয় স্বার্থের জায়গায় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আজ ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য সুরক্ষা ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তা নিশ্চিত করা হবে। তাই বিচার প্রক্রিয়া অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবে। তবে শুধুমাত্র বিচারেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না—রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যদি অপরাধের বিচার না হয়, তাহলে মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচারকাজ যেন নির্ভরযোগ্য ও প্রশ্নবর্জিত হয়—সে জন্য নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনো নেতিবাচক আলোচনা না হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা দেশকে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে পরিবর্তন না করতে পারি, তবে বিচার কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই থেকে যাবে। এতে করে এমন অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিচারের পাশাপাশি রাষ্ট্রকে বদলে দেওয়ার যে দায় তা আমাদের সবার ওপর বর্তায় এবং দেশের মানুষের যে সত্যিকারের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সবার উচিত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা ও সম্মান জানানো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যখন কোনো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে এবং দলীয় সরকারের মুখপাত্রে পরিণত হয়, তখন পরিস্থিতি চরম রূপ নেয়। এ ধরনের ঘটনার জন্ম তখনই হয়।
চব্বিশের জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও নির্দেশদাতারা কীভাবে পালাতে সক্ষম হলো, সেটিও বিচারের দাবি রাখে বলে উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত—যাঁরা নির্দেশদাতা, তাঁদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন। এটিও বিচারের আওতায় আসা উচিত। তাঁরা কীভাবে দেশ ছাড়ল? আমরা কীভাবে তাঁদের উপস্থিত রাখতে ব্যর্থ হলাম? অনুপস্থিত অবস্থায় তাঁদের বিচার করতে হলে, তা থেকে স্পষ্ট হয় যে রাষ্ট্রযন্ত্রের কোথাও না কোথাও বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখনো রয়ে গেছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকেরা এখনো বিভিন্ন সেক্টরে থেকে গেছে। যদি না থাকত, তাহলে খুনিরা পালিয়ে যেতে পারত না।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে বিচার হবে। ট্রাইব্যুনাল রায় দেবেন। কিন্তু তাঁদের (জড়িত-নির্দেশদাতা) সত্যিকার অর্থে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, এটি মেনে নেওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, চব্বিশের জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দেশদাতাদের একটি বড় অংশের বিচার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা রাখি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলীয় স্বার্থের জায়গায় জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আজ ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য সুরক্ষা ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তা নিশ্চিত করা হবে। তাই বিচার প্রক্রিয়া অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবে। তবে শুধুমাত্র বিচারেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না—রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যদি অপরাধের বিচার না হয়, তাহলে মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচারকাজ যেন নির্ভরযোগ্য ও প্রশ্নবর্জিত হয়—সে জন্য নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনো নেতিবাচক আলোচনা না হয়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যদি আমরা দেশকে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে পরিবর্তন না করতে পারি, তবে বিচার কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই থেকে যাবে। এতে করে এমন অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিচারের পাশাপাশি রাষ্ট্রকে বদলে দেওয়ার যে দায় তা আমাদের সবার ওপর বর্তায় এবং দেশের মানুষের যে সত্যিকারের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সবার উচিত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা ও সম্মান জানানো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যখন কোনো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে এবং দলীয় সরকারের মুখপাত্রে পরিণত হয়, তখন পরিস্থিতি চরম রূপ নেয়। এ ধরনের ঘটনার জন্ম তখনই হয়।
চব্বিশের জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও নির্দেশদাতারা কীভাবে পালাতে সক্ষম হলো, সেটিও বিচারের দাবি রাখে বলে উল্লেখ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত—যাঁরা নির্দেশদাতা, তাঁদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন। এটিও বিচারের আওতায় আসা উচিত। তাঁরা কীভাবে দেশ ছাড়ল? আমরা কীভাবে তাঁদের উপস্থিত রাখতে ব্যর্থ হলাম? অনুপস্থিত অবস্থায় তাঁদের বিচার করতে হলে, তা থেকে স্পষ্ট হয় যে রাষ্ট্রযন্ত্রের কোথাও না কোথাও বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখনো রয়ে গেছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকেরা এখনো বিভিন্ন সেক্টরে থেকে গেছে। যদি না থাকত, তাহলে খুনিরা পালিয়ে যেতে পারত না।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে বিচার হবে। ট্রাইব্যুনাল রায় দেবেন। কিন্তু তাঁদের (জড়িত-নির্দেশদাতা) সত্যিকার অর্থে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না, এটি মেনে নেওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, চব্বিশের জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দেশদাতাদের একটি বড় অংশের বিচার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা রাখি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমাবেশ ও অনুষ্ঠান করছে। আগামীকালও রাজধানীতে একাধিক রাজনৈতিক সমাবেশ ও অনুষ্ঠান রয়েছে। যার ফলে জনদুর্ভোগ কমাতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার শিক্ষার্থী রাইসা মনির (১১) পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে বিমান বাহিনী প্রধানের একটি প্রতিনিধি দল।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের জনপ্রিয় অনলাইন টিকিট বুকিং প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট এক্সপার্টের ফেসবুক পেজ সচল থাকলেও বন্ধ দেখাচ্ছে ওয়েবসাইট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক গ্রাহক। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলা স্ট্রিম ফ্লাইট এক্সপার্টের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তা বন্ধ দেখায়।
৫ ঘণ্টা আগেযে বাহিনীর লোকই জড়িত থাকবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে