leadT1ad

পুলিশি প্রহরায় দুই উপদেষ্টার মাইলস্টোন কলেজ ত্যাগ, আবার অবরুদ্ধ মেট্রোস্টেশনের সামনে

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ১৬: ১৬
পুলিশি প্রহরায় দুই উপদেষ্টার মাইলস্টোন কলেজ ত্যাগ, আবার অবরুদ্ধ মেট্রোস্টেশনের সামনে। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশি প্রহরায় মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ ত্যাগ করলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে তাঁদের আবার উত্তরা উত্তর মেট্রোস্টেশনের সামনে অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিকেল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপদেষ্টারা সেখানেই অবরুদ্ধ আছেন। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুুর্ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাঁদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব বাধ্য হন বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নিতে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ কয়েকজনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। পরে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ প্রাঙ্গণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ছয় দফা দাবিতে আজ সকাল থেকেই মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো–

১. দুর্ঘটনায় নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।

২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

৩. ঘটনাস্থলে শিক্ষকদের গায়ে সেনা সদস্যদের ‘হাত তোলার’ অভিযোগে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

৪. নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫. বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে।

৬. বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিবর্তন করে আরও মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ছয়টি দাবিই মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, ‘রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির প্রত্যেকটিই যৌক্তিক বলে মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

বিবৃতিতে আগামী ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর বেলা পৌনে একটার দিকে সকল দাবি মানার ঘোষণা দেন আসিফ নজরুলও। তিনি বলেন, আহত-নিহতদের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হবে, সেনাবাহিনী দ্বারা মারধোরের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে, জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালানোর ব্যাপারে বিমানবাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত