leadT1ad

বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির সম্মেলনে একজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর অনুসারীরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের গাড়িবহরে হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁর প্রাইভেট কারে হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।

স্ট্রিম সংবাদদাতাঠাকুরগাঁও
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ২১: ২৪
মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর। স্ট্রিম ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। এ সময় তাঁর প্রাইভেট কারে হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।

এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ওই হামলার প্রতিবাদ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন।

এ দিকে ওই ঘটনায় রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। এতে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী।

বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। শেষে তাঁদের মধ্যে ভোট হয়।

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর। স্ট্রিম ছবি
মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর। স্ট্রিম ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। এ সময় তাঁর প্রাইভেট কারে হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।

এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ওই হামলার প্রতিবাদ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন।

এ দিকে ওই ঘটনায় রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। এতে লিখিত বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী।

বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। শেষে তাঁদের মধ্যে ভোট হয়।

উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কাউন্সিলের ভোট শেষে গণনা নিয়ে টালবাহানা ও কারচুপি করেন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ সময়েও ফলাফল না দিয়ে চলে যেতে চান তাঁরা। এতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। পরে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলতা তৈরি হলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দলের নেতা-কর্মীরা জানান, কাউন্সিলে শনিবার বেলা দুটা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে। পরে ভোট গণনার সময় নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রের বাইরে থেকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নানা স্লোগান দেন। সন্ধ্যা সাতটার পরও ফলাফল ঘোষণা না হলে লাঠি নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা।

সৈয়দ আলম ও মাহবুবর রহমানের অনুসারীরা অভিযোগ করেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪৯৩ জন ভোটার তাঁদের ভোট দেন। এতে সভাপতি পদে ছাতা মার্কায় অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ আলম ২৪৪ ভোট ও আরেক প্রার্থী আবু হায়াত নুরুন্নবী চেয়ার মার্কা ২৪০ ভোট পান। এরপরই ফলাফল আটকে দেন জেলা বিএনপির নেতারা।

তবে সংবাদ সম্মেলনের দাবি করা হয়, কাউন্সিলে ৪৯০টি ভোটের মধ্যে ৪৮৮টি ভোট পড়ে। প্রাথমিক গণনায় সভাপতি পদে ছাতা মার্কায় ২৪১টি ও চেয়ার মার্কায় ২৪২টি ভোট পড়ে। এ ছাড়া ৪টি বাতিল ভোট ও ১টি ভোট চশমা মার্কায় পাওয়া যায়। তবে পুনর্যাচাইয়ে বাতিল ভোটের মধ্যে ১টি ভোট ছাতা মার্কার পক্ষে দেন নির্বাচন কমিশন। এতে ছাতা মার্কা ও চেয়ার মার্কার ভোট সমান ২৪২টি সংখ্যায় দাঁড়ায়।

এই ঘটনায় ছাতা মার্কার প্রার্থী সৈয়দ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ড. টি এম মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে তাঁদের সমর্থকেরা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের আটকে রেখে নিজেদের পক্ষে ফল ঘোষণার চাপ দেন। প্রায় চার ঘণ্টা আটকে থাকার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন অবরুদ্ধ নেতা-কর্মীদের মুক্ত করেন। এ সময় ‘গণনা অনুযায়ী’ ফলাফল ঘোষণাও করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর গাড়িবহরে হামলা করেন তাঁদের সমর্থকেরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. পয়গাম আলী বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা-কর্মী এ দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ড করেছেন, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বালিয়াডাঙ্গী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, ‘ভোটের ফলাফল ঘোষণা দিয়ে বের হওয়ার সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। যাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে একটা হট্টগোল হয়েছে। এ সময় কয়েকজন আহত হন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকেরর গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে হামলাকারীদের চিহ্ন করা সম্ভব হয়নি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত