.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুই আইনজীবীর জাতিসংঘে দায়ের করা অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ এবং বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রসিকিউটর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, যে আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন, ১৯৭৩) এই বিচার চলছে, সেই আইন, ট্রাইব্যুনাল এবং এমনকি আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার—সবকিছুই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রতিষ্ঠা ও সংশোধন করা হয়েছিল।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এই আইনটা তৈরি করেছিলেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের পার্লামেন্টে। পরবর্তীকালে শফিক আহমেদ সাহেব যখন আইনমন্ত্রী এবং আরেকজন বিশিষ্ট আইনজীবী আনিসুল হক সাহেব আইনমন্ত্রী, তখন এই আইনটা অ্যামেন্ডমেন্ট (সংশোধন) করেছিলেন এবং ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছিলেন।’
তিনি প্রশ্ন প্রশ্ন করেন, ‘তাদের তৈরি করা আইন এবং অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়াটা তারাই তৈরি করেছেন। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখন এক্ষেত্রে অনিয়মটা কী হচ্ছে?’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হলে তা প্রমাণের জন্য পলাতক আসামিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েই আবেদন করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘পলাতক আসামির পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো কথা বলার সুযোগ নাই।’
জাতিসংঘে দায়ের করা অভিযোগে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা-ও খণ্ডন করেন তিনি। প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, উনি (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাহেব) শেখ হাসিনার আমলের কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ উনি তারই লোক ছিলেন। কাজেই এইখানে ভিন্ন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
জাতিসংঘে অভিযোগের বিষয়টিকে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রসিকিউটর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের একটি সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে এবং জনগণকে হত্যা করে বিদেশে চলে গেছে। সেই টাকা দিয়ে এখন বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিচ্ছে, জনগণকে লেলিয়ে দিচ্ছে।’
সম্প্রতি লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি ও তাতিয়ানা ইটওয়েল শেখ হাসিনার পক্ষে জাতিসংঘের বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ দূতের কাছে একটি আবেদন জমা দেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচারে তাঁর ন্যায়বিচারের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যা ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) সনদের অনুচ্ছেদ ১৪(১)-এর পরিপন্থী। এতে বিচারকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততা এবং চিফ প্রসিকিউটরের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির মতো অভিযোগও তোলা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার তাঁর অনুপস্থিতিতেই চলছে এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এ ধরনের বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হলে তা আইসিসিপিআরের অনুচ্ছেদ ৬ (বেঁচে থাকার অধিকার)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। দলটির নেতাকর্মীদের হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) একটি মামলার আবেদন করা হয়। এ ছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নিবর্তন ও গুমের মতো অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুই আইনজীবীর জাতিসংঘে দায়ের করা অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা’ এবং বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রসিকিউটর পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, যে আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন, ১৯৭৩) এই বিচার চলছে, সেই আইন, ট্রাইব্যুনাল এবং এমনকি আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার—সবকিছুই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রতিষ্ঠা ও সংশোধন করা হয়েছিল।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এই আইনটা তৈরি করেছিলেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের পার্লামেন্টে। পরবর্তীকালে শফিক আহমেদ সাহেব যখন আইনমন্ত্রী এবং আরেকজন বিশিষ্ট আইনজীবী আনিসুল হক সাহেব আইনমন্ত্রী, তখন এই আইনটা অ্যামেন্ডমেন্ট (সংশোধন) করেছিলেন এবং ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছিলেন।’
তিনি প্রশ্ন প্রশ্ন করেন, ‘তাদের তৈরি করা আইন এবং অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে, সেই প্রক্রিয়াটা তারাই তৈরি করেছেন। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখন এক্ষেত্রে অনিয়মটা কী হচ্ছে?’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জোর দিয়ে বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হলে তা প্রমাণের জন্য পলাতক আসামিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েই আবেদন করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘পলাতক আসামির পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো কথা বলার সুযোগ নাই।’
জাতিসংঘে দায়ের করা অভিযোগে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা-ও খণ্ডন করেন তিনি। প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, উনি (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাহেব) শেখ হাসিনার আমলের কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ উনি তারই লোক ছিলেন। কাজেই এইখানে ভিন্ন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
জাতিসংঘে অভিযোগের বিষয়টিকে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রসিকিউটর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের একটি সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে নিয়ে গেছে এবং জনগণকে হত্যা করে বিদেশে চলে গেছে। সেই টাকা দিয়ে এখন বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিচ্ছে, জনগণকে লেলিয়ে দিচ্ছে।’
সম্প্রতি লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি ও তাতিয়ানা ইটওয়েল শেখ হাসিনার পক্ষে জাতিসংঘের বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক বিশেষ দূতের কাছে একটি আবেদন জমা দেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচারে তাঁর ন্যায়বিচারের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যা ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) সনদের অনুচ্ছেদ ১৪(১)-এর পরিপন্থী। এতে বিচারকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততা এবং চিফ প্রসিকিউটরের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির মতো অভিযোগও তোলা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার তাঁর অনুপস্থিতিতেই চলছে এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এ ধরনের বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হলে তা আইসিসিপিআরের অনুচ্ছেদ ৬ (বেঁচে থাকার অধিকার)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। দলটির নেতাকর্মীদের হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) একটি মামলার আবেদন করা হয়। এ ছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নিবর্তন ও গুমের মতো অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছিলেন।
.png)

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেলের একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) তৈরি করে দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এই কাঠামোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
১৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ের সময়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রমনা থানার সামনে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লেগেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ আগুন কোনো দুর্বৃত্ত দেয়নি। গাড়ির কাজ করার সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শ্বশুর বাড়ি থেকে রতন মিয়া (৩০) ও তাঁর শিশুকন্যার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রাম থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগে