স্ট্রিমের মুখোমুখি বুয়েট শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিন
স্ট্রিম প্রতিবেদক
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নবম গ্রেডে কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এসব দাবিতে আজ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
দেশের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিনের সঙ্গে কথা বলেছে স্ট্রিম।
স্ট্রিম: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবি কীভাবে মুখোমুখি হলো?
লাজিম আল মুত্তাকিন: বিএসসি সম্পন্ন করা একজন সরকারি চাকরিতে সাধারণত নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদন করতে পারেন। আর দশম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে সরাসরি নিয়োগ পান ডিপ্লোমা শেষ করা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু যা হচ্ছে, তাতে ডিপ্লোমাধারীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে। কারণ তাঁরা দশম গ্রেড থেকে পদোন্নতি পেয়ে নবম গ্রেডে চলে আসছেন এবং এটি হচ্ছে কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই। আমরা চাই, তাঁদের যদি নবম গ্রেডে আসতে হয়, তাহলে পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে।
স্ট্রিম: ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতি হচ্ছে। কিন্তু বিএসসি পাশ করা প্রকৌশলীদের সুযোগ কমছে কীভাবে?
লাজিম আল মুত্তাকিন: পদোন্নতি হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু যাছাইবাছাই তো করতে হবে। এখন মূলত দেশের ডিপ্লোমাদের বিশাল সিন্ডিকেট পুরো ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরটা জিম্মি করে রেখেছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ পোস্টে কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি পাচ্ছেন ডিপ্লোমাধারীরা। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি। ৫০ শতাংশের বেশি প্রথম শ্রেণির পোস্টে তারা ঢুকে পড়ছে। যে কারণে আগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যেখানে ১০০-১৫০ পদের সার্কুলার আসতো, এখন আসছে ৫-১০ জনের।
স্ট্রিম: বেসরকারি খাতেও কী একই অবস্থা?
লাজিম আল মুত্তাকিন: বেসরকারি খাতেও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে। সেখানেও ডিপ্লোমাধারীরা সিন্ডিকেট করে রেখেছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বেতনও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে চাকরিক্ষেত্রে কথা বলারও সুযোগ নেই।
স্ট্রিম: আপনাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করলেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বলতে শুনেছি, লিখিতভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দাবি-দাওয়া পায়নি।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি, বারবার দাবি তুলেছি, কিন্তু কোনো দাবি নিয়ে সরকার আগ্রহ দেখায়নি। সে কারণে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
স্ট্রিম: বর্তমান আন্দোলন বেশ বড় আকার ধারণ করেছে এবং এতে সূত্রপাত কখন হলো এবং এতে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছে।
লাজিম আল মুত্তাকিন: মূলত এ বছরের মার্চ মাসের দিকে আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম থেকে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ছিলেন। প্রথমে আন্দোলনের কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহীতে। এরপর দেশের অন্যান্য স্থানেও হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। কারণ সব জায়গায় ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের প্রভাব বেশি।
স্ট্রিম: আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগে জমায়েত ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। সরকার বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবির বিষয়েই কমিটি করে দিয়েছে।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমরা বহুবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাইনি। এখন আমাদের আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালালো। মার্চু টু ঢাকা কর্মসূচিতে রাজশাহী, সিলেট, যশোরসহ সারা দেশ থেকেই শিক্ষার্থীরা এসেছিল। এরপর সরকার অবশ্য দাবি বিবেচনার কথা বলছে। কিন্তু আমরা চাই দাবির বাস্তবায়ন। তা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটি নির্ভর করছে সরকারের রেসপন্সের ওপর।
স্ট্রিম: আপনারা তিন দফা দাবির কথা বলছেন। ডিপ্লোমাধারীরাও কিছু দাবি তুলছেন।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমাদের তিন দফার মধ্যে আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর সংস্কারের বিষয়টি আছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা আজ হুমকির মুখে। দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাচ্ছে এবং তারাই প্রমোশন নিয়ে নবম গ্রেডে যাচ্ছে। আমরা চাই ন্যায্যতা। এই দাবি জানাতে গিয়ে রংপুরে একজন প্রকৌশলী প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এসবেরও বিচার চাই।
স্ট্রিম: অভিযোগ উঠেছে, আপনাদের ভঙ্গির কারণেই আক্রমণ হয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
লাজিম আল মুত্তাকিন: খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ডিসি মাসুদ স্যার বলেছেন, আমরা নাকি আগে আক্রমণ করেছি, তাই পুলিশ প্রতিরোধ করেছে। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। প্রতিটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যমুনা ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। শুধু লাঠিচার্জ নয়, আমাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমার নিজের ব্যাচমেট নাসির এখন ডিএমসিতে ভর্তি আছে। তার শরীরে স্প্লিন্টার লেগেছে।
উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তাঁরা।
একপর্যায়ে তাঁরা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যেতে শুরু করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তখন লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
অনুলিখন: ফারুক হোসাইন ও শতাব্দীকা ঊর্মি
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নবম গ্রেডে কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এসব দাবিতে আজ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
দেশের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিনের সঙ্গে কথা বলেছে স্ট্রিম।
স্ট্রিম: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবি কীভাবে মুখোমুখি হলো?
লাজিম আল মুত্তাকিন: বিএসসি সম্পন্ন করা একজন সরকারি চাকরিতে সাধারণত নবম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদন করতে পারেন। আর দশম গ্রেডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে সরাসরি নিয়োগ পান ডিপ্লোমা শেষ করা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু যা হচ্ছে, তাতে ডিপ্লোমাধারীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে। কারণ তাঁরা দশম গ্রেড থেকে পদোন্নতি পেয়ে নবম গ্রেডে চলে আসছেন এবং এটি হচ্ছে কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই। আমরা চাই, তাঁদের যদি নবম গ্রেডে আসতে হয়, তাহলে পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে।
স্ট্রিম: ডিপ্লোমাধারীদের পদোন্নতি হচ্ছে। কিন্তু বিএসসি পাশ করা প্রকৌশলীদের সুযোগ কমছে কীভাবে?
লাজিম আল মুত্তাকিন: পদোন্নতি হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু যাছাইবাছাই তো করতে হবে। এখন মূলত দেশের ডিপ্লোমাদের বিশাল সিন্ডিকেট পুরো ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরটা জিম্মি করে রেখেছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ পোস্টে কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি পাচ্ছেন ডিপ্লোমাধারীরা। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি। ৫০ শতাংশের বেশি প্রথম শ্রেণির পোস্টে তারা ঢুকে পড়ছে। যে কারণে আগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যেখানে ১০০-১৫০ পদের সার্কুলার আসতো, এখন আসছে ৫-১০ জনের।
স্ট্রিম: বেসরকারি খাতেও কী একই অবস্থা?
লাজিম আল মুত্তাকিন: বেসরকারি খাতেও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন শুরু হয়েছে। সেখানেও ডিপ্লোমাধারীরা সিন্ডিকেট করে রেখেছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বেতনও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে চাকরিক্ষেত্রে কথা বলারও সুযোগ নেই।
স্ট্রিম: আপনাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করলেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বলতে শুনেছি, লিখিতভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দাবি-দাওয়া পায়নি।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি, বারবার দাবি তুলেছি, কিন্তু কোনো দাবি নিয়ে সরকার আগ্রহ দেখায়নি। সে কারণে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
স্ট্রিম: বর্তমান আন্দোলন বেশ বড় আকার ধারণ করেছে এবং এতে সূত্রপাত কখন হলো এবং এতে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছে।
লাজিম আল মুত্তাকিন: মূলত এ বছরের মার্চ মাসের দিকে আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম থেকে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ছিলেন। প্রথমে আন্দোলনের কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহীতে। এরপর দেশের অন্যান্য স্থানেও হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। কারণ সব জায়গায় ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের প্রভাব বেশি।
স্ট্রিম: আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগে জমায়েত ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। সরকার বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবির বিষয়েই কমিটি করে দিয়েছে।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমরা বহুবার যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাইনি। এখন আমাদের আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালালো। মার্চু টু ঢাকা কর্মসূচিতে রাজশাহী, সিলেট, যশোরসহ সারা দেশ থেকেই শিক্ষার্থীরা এসেছিল। এরপর সরকার অবশ্য দাবি বিবেচনার কথা বলছে। কিন্তু আমরা চাই দাবির বাস্তবায়ন। তা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এটি নির্ভর করছে সরকারের রেসপন্সের ওপর।
স্ট্রিম: আপনারা তিন দফা দাবির কথা বলছেন। ডিপ্লোমাধারীরাও কিছু দাবি তুলছেন।
লাজিম আল মুত্তাকিন: আমাদের তিন দফার মধ্যে আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর সংস্কারের বিষয়টি আছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা আজ হুমকির মুখে। দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পাচ্ছে এবং তারাই প্রমোশন নিয়ে নবম গ্রেডে যাচ্ছে। আমরা চাই ন্যায্যতা। এই দাবি জানাতে গিয়ে রংপুরে একজন প্রকৌশলী প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এসবেরও বিচার চাই।
স্ট্রিম: অভিযোগ উঠেছে, আপনাদের ভঙ্গির কারণেই আক্রমণ হয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
লাজিম আল মুত্তাকিন: খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ডিসি মাসুদ স্যার বলেছেন, আমরা নাকি আগে আক্রমণ করেছি, তাই পুলিশ প্রতিরোধ করেছে। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। প্রতিটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যমুনা ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। শুধু লাঠিচার্জ নয়, আমাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমার নিজের ব্যাচমেট নাসির এখন ডিএমসিতে ভর্তি আছে। তার শরীরে স্প্লিন্টার লেগেছে।
উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তাঁরা।
একপর্যায়ে তাঁরা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যেতে শুরু করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তখন লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
অনুলিখন: ফারুক হোসাইন ও শতাব্দীকা ঊর্মি
পাঁচ মাস ধরে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। এখন কর্মসূচি রূপ নিয়েছে আন্দোলনের। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের উপ-সহকারী পদটি তাদের জন্য বহাল র
৩১ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। বরং প্রয়োজন হলে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগেরামেক অধ্যক্ষ বলেছেন, শিক্ষকেরা অনেক সময় বিদেশ থেকে ফান্ড এনেছেন। তবে কোনো শিক্ষার্থী আনতে পারেননি। শীর্ষ শ্রেয়াণ সেটা করে দেখিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে