স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজধানীর বাজারে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সরবরাহ ব্যাহতের অজুহাতে সবজি, মাছ, মাংস—সবকিছুর দামই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি মূল্য ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আগের সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ বাড়তি চাপের মুখে পড়েছেন।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কালশী, মাটিকাটা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এ চিত্র দেখা যায়।
সবজির বাজারে ক্রেতাদের অভিযোগ, যেকোনো অজুহাতেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আজ সকালে বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় ঢেঁড়স মান ভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা এবং উস্তা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে বাজারে উঠেছে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। তবে এগুলোর দামও বেশ চড়া। শিম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ছোট আকারের একটি ফুলকপি ৭০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে জালি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে কাঁচামরিচ। গত সপ্তাহে যেখানে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম লাফিয়ে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় পৌঁছেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং টানা বৃষ্টিতে খেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
মাটিকাটা বাজারের সবজি বিক্রেতা মোসাদ্দেক হোসেন দাবি করেন, ‘বৃষ্টিতে সরবরাহ কমেছে, অনেক খেত নষ্ট হয়েছে। পাইকারি বাজারেই দাম বাড়তি। আমরা জোর করে দাম বাড়াইনি।’
একই বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শিহাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে সবজির দাম অস্বাভাবিক। বৃষ্টির অজুহাতে আরও বাড়ানো হয়েছে। অথচ বাজারে কোনো মনিটরিং নেই। সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে এত দামে বাজার করবে?’
সবজির মতো মাছের বাজারেও একই অবস্থা। রুই মাছের কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মাছের মধ্যে শিং, কই, টেংরা ইত্যাদির দামও কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। মৌসুম হলেও ইলিশের দাম রয়েছে চরম ঊর্ধ্বগতিতে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২১০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।
মাংসের বাজারেও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি নেই। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মানুষের জন্য বাজার করা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালশী বাজারের ক্রেতা রাজু আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সবজি সবক্ষেত্রেই একই অবস্থা। বাজারে যদি এমন অবস্থা হয় আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাবো?’
কারওয়ান বাজারে ক্রেতা শাহেদ আলী বলেন, ‘কিছু মাছ আমরা মধ্যবিত্তরা কিনে খাইতাম স্বল্প দামে। এখন তেলাপিয়া-পাঙ্গাসের মতো মাছও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে গেলে চিন্তায় পড়ে যাই, কী কিনব আর কী বাদ দেব।’
বিক্রেতারা অবশ্য দায় চাপাচ্ছেন পাইকারি বাজারের ওপর। কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনেক খেত নষ্ট হয়েছে। ট্রাকে সবজি আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাইকারি বাজারেই মাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই খুচরায়ও দাম বেশি।’
একই বাজারে ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘আমরা যদি অযৌক্তিক দাম রাখি, ক্রেতারা নেবে না। তবে পাইকারি বাজারের দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হয়।’
সবজি, মাছ ও মাংসের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, আটা, ডাল, তেল ও মসলার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সরু চাল (নাজির/মিনিকেট) কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি চাল (পাইজাম/লতা) ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল (স্বর্ণা/চায়না/ইরি) ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা আটা ৪৫ থেকে বেড়ে ৫২ টাকা এবং প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৬৫ থেকে বেড়ে ৭৫ টাকায়।
ডালের বাজারেও চাপ বেড়েছে। তুরস্ক ও কানাডা থেকে আসা বড় দানার মশুর ডাল কেজিপ্রতি ৯৫ থেকে বেড়ে ১১০ টাকা, মাঝারি দানার ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং নেপালি ছোট দানার মশুর ডাল ১৫০ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগডালের দাম মানভেদে ১২০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, ছোলা ১০০ থেকে ১১৫ টাকা এবং অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তেলের বাজারেও অস্থিরতা চলছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭০ থেকে বেড়ে ১৭৬ টাকা, এক লিটার বোতলজাত তেল ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকা, দুই লিটার ৩৭৫ থেকে ৩৭৮ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতল ৮৯০ থেকে বেড়ে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৫৩ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলার বাজারেও অস্বাভাবিক দাম লক্ষ্য করা গেছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা (আমদানি ১৩০ থেকে ২০০ টাকা), শুকনা মরিচ ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি আদা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা (আমদানি ১৪০ থেকে ২৪০ টাকা), হলুদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা (আমদানি ৩০০ থেকে ৪২০ টাকা), জিরা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও দারুচিনি ৪৮০ থেকে0 ৬০০ টাকা, ধনে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা এবং তেজপাতা ১৯০ থেকে বেড়ে ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লবঙ্গ কেজিপ্রতি ১৫০০ টাকা এবং এলাচ ৫১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা গৃহিণী শামীমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছুদিন আগেও চাল-ডাল-তেল কিনে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। এখন এগুলোর দামও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। মাসের বাজার করতে গেলে বাজেট মিলছে না। প্রতিদিনই খরচ কেটে ফেলতে হচ্ছে।’
একই বাজারের মুদি দোকানি জাকির হক বলেন, ‘আমরা নিজেরাই কম দামে কিনতে পারি না। পাইকারি বাজারে যে দামে কিনতে হয়, তার ওপর সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করি।’
রাজধানীর বাজারে আবারও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সরবরাহ ব্যাহতের অজুহাতে সবজি, মাছ, মাংস—সবকিছুর দামই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি মূল্য ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আগের সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ বাড়তি চাপের মুখে পড়েছেন।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কালশী, মাটিকাটা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এ চিত্র দেখা যায়।
সবজির বাজারে ক্রেতাদের অভিযোগ, যেকোনো অজুহাতেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আজ সকালে বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় ঢেঁড়স মান ভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা এবং উস্তা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে বাজারে উঠেছে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। তবে এগুলোর দামও বেশ চড়া। শিম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ছোট আকারের একটি ফুলকপি ৭০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে জালি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে কাঁচামরিচ। গত সপ্তাহে যেখানে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম লাফিয়ে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় পৌঁছেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং টানা বৃষ্টিতে খেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
মাটিকাটা বাজারের সবজি বিক্রেতা মোসাদ্দেক হোসেন দাবি করেন, ‘বৃষ্টিতে সরবরাহ কমেছে, অনেক খেত নষ্ট হয়েছে। পাইকারি বাজারেই দাম বাড়তি। আমরা জোর করে দাম বাড়াইনি।’
একই বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শিহাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে সবজির দাম অস্বাভাবিক। বৃষ্টির অজুহাতে আরও বাড়ানো হয়েছে। অথচ বাজারে কোনো মনিটরিং নেই। সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে এত দামে বাজার করবে?’
সবজির মতো মাছের বাজারেও একই অবস্থা। রুই মাছের কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মাছের মধ্যে শিং, কই, টেংরা ইত্যাদির দামও কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। মৌসুম হলেও ইলিশের দাম রয়েছে চরম ঊর্ধ্বগতিতে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২১০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।
মাংসের বাজারেও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি নেই। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মানুষের জন্য বাজার করা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালশী বাজারের ক্রেতা রাজু আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সবজি সবক্ষেত্রেই একই অবস্থা। বাজারে যদি এমন অবস্থা হয় আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাবো?’
কারওয়ান বাজারে ক্রেতা শাহেদ আলী বলেন, ‘কিছু মাছ আমরা মধ্যবিত্তরা কিনে খাইতাম স্বল্প দামে। এখন তেলাপিয়া-পাঙ্গাসের মতো মাছও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে গেলে চিন্তায় পড়ে যাই, কী কিনব আর কী বাদ দেব।’
বিক্রেতারা অবশ্য দায় চাপাচ্ছেন পাইকারি বাজারের ওপর। কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনেক খেত নষ্ট হয়েছে। ট্রাকে সবজি আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাইকারি বাজারেই মাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই খুচরায়ও দাম বেশি।’
একই বাজারে ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘আমরা যদি অযৌক্তিক দাম রাখি, ক্রেতারা নেবে না। তবে পাইকারি বাজারের দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হয়।’
সবজি, মাছ ও মাংসের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, আটা, ডাল, তেল ও মসলার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে সরু চাল (নাজির/মিনিকেট) কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি চাল (পাইজাম/লতা) ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল (স্বর্ণা/চায়না/ইরি) ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোলা আটা ৪৫ থেকে বেড়ে ৫২ টাকা এবং প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৬৫ থেকে বেড়ে ৭৫ টাকায়।
ডালের বাজারেও চাপ বেড়েছে। তুরস্ক ও কানাডা থেকে আসা বড় দানার মশুর ডাল কেজিপ্রতি ৯৫ থেকে বেড়ে ১১০ টাকা, মাঝারি দানার ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং নেপালি ছোট দানার মশুর ডাল ১৫০ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগডালের দাম মানভেদে ১২০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, ছোলা ১০০ থেকে ১১৫ টাকা এবং অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তেলের বাজারেও অস্থিরতা চলছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৭০ থেকে বেড়ে ১৭৬ টাকা, এক লিটার বোতলজাত তেল ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকা, দুই লিটার ৩৭৫ থেকে ৩৭৮ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতল ৮৯০ থেকে বেড়ে ৯২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৫৩ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলার বাজারেও অস্বাভাবিক দাম লক্ষ্য করা গেছে। দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা (আমদানি ১৩০ থেকে ২০০ টাকা), শুকনা মরিচ ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি আদা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা (আমদানি ১৪০ থেকে ২৪০ টাকা), হলুদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা (আমদানি ৩০০ থেকে ৪২০ টাকা), জিরা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও দারুচিনি ৪৮০ থেকে0 ৬০০ টাকা, ধনে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা এবং তেজপাতা ১৯০ থেকে বেড়ে ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লবঙ্গ কেজিপ্রতি ১৫০০ টাকা এবং এলাচ ৫১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা গৃহিণী শামীমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছুদিন আগেও চাল-ডাল-তেল কিনে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। এখন এগুলোর দামও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। মাসের বাজার করতে গেলে বাজেট মিলছে না। প্রতিদিনই খরচ কেটে ফেলতে হচ্ছে।’
একই বাজারের মুদি দোকানি জাকির হক বলেন, ‘আমরা নিজেরাই কম দামে কিনতে পারি না। পাইকারি বাজারে যে দামে কিনতে হয়, তার ওপর সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করি।’
গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকে দেওয়ায় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত রূপনাথপুর গ্রামে পাওনাদার এক হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধের ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই বৃদ্ধের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
২ ঘণ্টা আগেভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
৫ ঘণ্টা আগেমানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ২০২৩ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ করে সরকার।
৭ ঘণ্টা আগে