leadT1ad

৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন ইসহাক দার

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৩৫
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। সংগৃহীত ছবি

গত শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা এসেছিলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ঢাকা ছাড়ার আগে ইসহাক দার তাঁর এক্স একাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

রোববার দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটে প্রকাশিত লেখাটিতে ইসহাক দার লিখেছেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এই সফর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার করবে। দুই দেশের মধ্যে আরও সফর হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।

লেখার শুরুতেই জানান, বাংলাদেশে তিনি ৩৬ ঘণ্টার অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফর সম্পন্ন করেছেন। সফরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীর উদ্দিন ও মন্ত্রিপরিষদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন।

ইসহাক দার উল্লেখ করেছেন, এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, টিসিবির চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

ইসহাক দার লিখেছেন, ‘এছাড়া বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বুদ্ধিজীবী, থিংক ট্যাংক সদস্য, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ‘বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ আলোচনায়’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়ে পূর্ণ মতৈক্য হয়েছে জানিয়ে ইসহাক দার লিখেছেন, ‘এর মধ্যে ছিল উচ্চপর্যায়ের বিনিময়, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সংযোগ, শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়েও মতবিনিময় করেছি। সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টিও ছিল।’

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা গভীর করার অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সফরের সমাপ্তি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়েছে তা তুলে ধরেছেন। একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো, দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল (সরকারি) পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের চুক্তি, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সমঝোতা, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা, বাণিজ্য সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে সমঝোতা স্মারক।

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সফর পাকিস্তান–বাংলাদেশ সম্পর্ককে নতুন গতি দেবে। সব খাতে আরও ঘন ঘন বিনিময় ও বর্ধিত সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে উষ্ণ আতিথেয়তা ও ফলপ্রসূ সফরের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

ঢাকা থেকে ইসহাক দার সরাসরি সৌদি আরবের জেদ্দায় যান। সেখানে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় ওআইসির ফিলিস্তিন বিষয়ে বিশেষ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে ওআইসিভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।

Ad 300x250

তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার: মাইটিভি দখলের অভিযোগ নুরের, রাশেদ বললেন ভুয়া মামলা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা

‘বায়োপলিটিকস’ কী, যার কারণে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন চাইল বাংলাদেশ ব্যাংক, লাগবে ৩০০ কোটি টাকা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রিভিউ শুনানি শুরু

সম্পর্কিত