leadT1ad

ওসমানী উদ্যানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকার ওসমানী উদ্যানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে তারা।

আজ রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে স্মৃতিস্তম্ভটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপস্থিত ছিলেন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা ও নির্মাণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ও ইতিহাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’

৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনের সময় আসিফ মাহমুদ জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে একটি মহল বাজেট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ‘এসব প্রশ্ন জনগণের টাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নয়, বরং রাজনৈতিক অপচেষ্টা। কারণ, বিগত ফ্যাসিবাদের সময় এসব প্রশ্ন ছিল না। বিগত আমলের শুধু পরামর্শক ফি দিয়েই এখন প্রায় পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সকল অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ডিএসসিসি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নকশা অনুযায়ী, স্মৃতিস্তম্ভটি একটি বৃত্তাকার বেদির ওপর নির্মিত হবে। এর দুই পাশে চারটি করে আটটি আয়তাকার কলাম এবং মাঝখানে ৯০ ফুট উচ্চতার একটি স্বতন্ত্র বৃত্তাকার কলাম থাকবে। স্মৃতিস্তম্ভে দুটি প্রবেশপথ থাকবে এবং প্রবেশপথে এপিটাফ স্থাপন করা হবে। পুরো চত্বরে কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করা হবে।

ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘যখন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, তখন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার উদ্যোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই গৌরবময় কাজটি হাতে নিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয় এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত