স্ট্রিম প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনে নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন পুলিশের তখনকার একজন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় বৈঠকে মিলিত হতেন, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায়। এসব বৈঠক ছিল অনানুষ্ঠানিক। বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হতো রাতে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাজসাক্ষী হিসেবে জেরায় মামুন এসব তথ্য দেন। হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কামালের সঙ্গে এই মামলায় মামুনও ছিলেন আসামি, কিন্তু তিনি রাজসাক্ষী হয়ে সরকারের ভেতরকার তথ্য দিয়ে মামলার বিচারে সহায়তা করছেন।
জেরায় উঠে আসে, এসব বৈঠকে তৎকালীন আইজি মামুন অংশগ্রহণ করতেন না। একজন মহাপরিদর্শক হিসেবে পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকলেও তাকে সেসব বৈঠকের ব্যাপারে জানানোও হতো না। এ বিষয়ে জানতে তাকে সোর্সের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। মামুন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় রাত্রীকালীন এসব বৈঠক তিনি আইজি থাকার সময় হতো, আগেও হতো।
মামুন বলেন, আমার অধস্তন যেসব অফিসার ওইসব বৈঠকে অংশগ্রহণ করতেন, তাদের আমি নিবৃত করার চেষ্টা করেছি, তারা আমাকে মানেনি। আমি তাদের বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নেইনি। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বেই এসব বৈঠক হতো, তবে অনিয়ম জানার পরেও আমি পদত্যাগ করার চেষ্টা করিনি। এটা সত্য নয় যে, আমি সুবিধাভোগী ছিলাম বলে পদত্যাগ করিনি।
জেরায় মামুন তথ্য দেন, র্যাবের উত্তরা ইউনিটের কম্পাউন্ডে টাস্কফোর্স ইন্টিলিজেন্স সেলের বন্দিশালা র্যাব কর্তৃক পরিচালিত হতো। ওই বন্দিশালাগুলো আমার নির্দেশে তৈরি বা সেখানে আমার নির্দেশে লোকদের আটক রাখা হতো, এটা সত্য নয়। র্যাবের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেইনি। ব্যারিস্টার আরমানকে আমার নির্দেশে বন্দি করা হয়েছিল, এটা সত্য নয়।
মামুন বলেন, এতসব অন্যায়, অনিয়মের আমি সুবিধাভোগ করেছি, একথা সত্য নয়। আমি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে বিধিবিধান অনুযায়ী আমার অধস্তন পুলিশ অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেছি। আইজির সঙ্গে ডিআইজিদের যেসব বৈঠক হতো, তাতে ডিআইজিদের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০% ভোট ভরে রাখার পরামর্শ দেন, তা আমি সোর্স থেকে জানতে পারি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে অনিয়মের কথা জানতে পেরে আমি অধস্তন কর্মকর্তাদের বিরত থাকতে বলেছি। কেউ আমার কথা শুনেছে, কেউ শোনেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় সরকারের অবৈধ নির্দেশ পালন করে আমি অপরাধ করেছি, একথা সত্য নয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনে নানা অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন পুলিশের তখনকার একজন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় বৈঠকে মিলিত হতেন, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায়। এসব বৈঠক ছিল অনানুষ্ঠানিক। বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হতো রাতে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাজসাক্ষী হিসেবে জেরায় মামুন এসব তথ্য দেন। হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কামালের সঙ্গে এই মামলায় মামুনও ছিলেন আসামি, কিন্তু তিনি রাজসাক্ষী হয়ে সরকারের ভেতরকার তথ্য দিয়ে মামলার বিচারে সহায়তা করছেন।
জেরায় উঠে আসে, এসব বৈঠকে তৎকালীন আইজি মামুন অংশগ্রহণ করতেন না। একজন মহাপরিদর্শক হিসেবে পুলিশের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকলেও তাকে সেসব বৈঠকের ব্যাপারে জানানোও হতো না। এ বিষয়ে জানতে তাকে সোর্সের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। মামুন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় রাত্রীকালীন এসব বৈঠক তিনি আইজি থাকার সময় হতো, আগেও হতো।
মামুন বলেন, আমার অধস্তন যেসব অফিসার ওইসব বৈঠকে অংশগ্রহণ করতেন, তাদের আমি নিবৃত করার চেষ্টা করেছি, তারা আমাকে মানেনি। আমি তাদের বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নেইনি। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বেই এসব বৈঠক হতো, তবে অনিয়ম জানার পরেও আমি পদত্যাগ করার চেষ্টা করিনি। এটা সত্য নয় যে, আমি সুবিধাভোগী ছিলাম বলে পদত্যাগ করিনি।
জেরায় মামুন তথ্য দেন, র্যাবের উত্তরা ইউনিটের কম্পাউন্ডে টাস্কফোর্স ইন্টিলিজেন্স সেলের বন্দিশালা র্যাব কর্তৃক পরিচালিত হতো। ওই বন্দিশালাগুলো আমার নির্দেশে তৈরি বা সেখানে আমার নির্দেশে লোকদের আটক রাখা হতো, এটা সত্য নয়। র্যাবের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেইনি। ব্যারিস্টার আরমানকে আমার নির্দেশে বন্দি করা হয়েছিল, এটা সত্য নয়।
মামুন বলেন, এতসব অন্যায়, অনিয়মের আমি সুবিধাভোগ করেছি, একথা সত্য নয়। আমি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে বিধিবিধান অনুযায়ী আমার অধস্তন পুলিশ অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেছি। আইজির সঙ্গে ডিআইজিদের যেসব বৈঠক হতো, তাতে ডিআইজিদের মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০% ভোট ভরে রাখার পরামর্শ দেন, তা আমি সোর্স থেকে জানতে পারি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে অনিয়মের কথা জানতে পেরে আমি অধস্তন কর্মকর্তাদের বিরত থাকতে বলেছি। কেউ আমার কথা শুনেছে, কেউ শোনেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় সরকারের অবৈধ নির্দেশ পালন করে আমি অপরাধ করেছি, একথা সত্য নয়।
রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণ হয়।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিনকে তলব করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের এক বক্তব্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি, যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ বা অ
২ ঘণ্টা আগেগত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন পাভেল।
৩ ঘণ্টা আগে