বাংলাদেশ সচিবালয়ের নতুন ভবন (১ নম্বর ভবন) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ২টার দিকে সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবনে (১ নং) আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে এর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরের দিকে সচিবালয়ের নতুন ভবন হঠাৎ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসময় ভবনজুড়ে একের পর এক ফায়ার হুইসেলের শব্দ শোনা যায়। এতে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে।
ভবন থেকে নেমে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ঘটে ১০তম তলায়। রবিউল নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হঠাৎ করেই ফায়ার হুইসেল বাজতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা ১০ তলার দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছি। পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে আসি।’
আতঙ্কে সচিবালয়ে অনেক কর্মী বাইরে বেরিয়ে আসেনআরেক কর্মচারী বলেন, ‘আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম, এটা সিগারেটের ধোঁয়া হতে পারে। পরে দেখি বড় আকারে ধোঁয়া উড়ছে। সবাই দ্রুত ভবন ত্যাগ করেছে। এখনও ঠিক কী হয়েছে তা কেউ বলতে পারছে না।’
ঘটনার পর ১ নম্বর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে নেমে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেন। এ ভবনেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দপ্তর।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, এয়ার কন্ডিশন মেশিনের ত্রুটির কারণে আগুন লাগে। কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে পৌঁছায়। তবে তাদের যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আগুনে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুমের এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এগজস্ট ফ্যানের বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগেছিল।