leadT1ad

হাদির দাফন হচ্ছে ঢাকায়

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ছবি সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হতে পারে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে। দাফনের স্থান নির্দিষ্ট করতে এরমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সংসদ ভবন এলাকা পরিদর্শন করেছে বলে সরকারঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার একটি প্রস্তাবও এসেছে।

সংসদ ভবন এলাকায় সমাহিত বিশিষ্টজনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক সংসদ সদস্য খান এ সবুর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমেদ এবং সাবেক স্পিকার তমিজউদ্দীন খান।

আপ বাংলাদেশের মুখ্য সমন্বয়ক রাফে সালমান রিফাত এ বিষয়ে পরিবারের বরাতে স্ট্রিমকে বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের দাফন ঢাকায় হবে। তবে কোথায় হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি নজরুল ইসলামের কবরের পাশেও হতে পারে।’

ওসমান হাদিকে কোথায় দাফন হবে– বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। শহীদ আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘পরিবারের আপত্তি না থাকলে, ওসমান হাদি ভাইকে সংসদ ভবনের পাশে জাতীয় কবরস্থানে যে কোনো মূল্যে শায়িত করতে হবে আমাদের। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কবরের পাশে করাও অপশন হতে পারে।’

এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুকে লেখেন, ‘ঢাকা-৮ আসনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে আমাদের প্রাণপ্রিয় ওসমান হাদির কবর করার দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে গণসংযোগ করে ফেরার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে অটোরিকশায় থাকা হাদির মাথা গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ১৫ ডিসেম্বর পল্টন থানায় মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। এতে সাবেক ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়। হাদিকে গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফয়সালের মা-বাবা, স্ত্রীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Ad 300x250

সম্পর্কিত