সাংবাদিক সমাজ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করা কেবল মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শিক্ষাবৃত্তি ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সরকার সবসময় পাশে থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে আয়োজিত প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, পেশাগত ব্যস্ততার কারণে রিপোর্টাররা অনেক সময় পরিবার, বিশেষ করে সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না, যা তাদের জন্য এক বড় বেদনা। সেই শূন্যতা পূরণে সহকর্মী ও সংগঠনের পক্ষ থেকে যে সহমর্মিতা ও দায়বদ্ধতা দেখানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং তাদের মেধা বিকাশে ডিআরইউ ও এনআরবিসি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগকে তিনি অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন।
ডিআরইউ পরিচালিত ‘উইকেন্ড স্কুল’-এর প্রশংসা করে ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, যেখানে শিশুদের সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও অন্যান্য প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির একটি পূর্ণাঙ্গ স্কুল প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে তিনি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও অর্জনযোগ্য হিসেবে অভিহিত করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, ডিআরইউ ভবিষ্যতেও এভাবেই মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাবে। অনুষ্ঠানে ডিআরইউর পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, বিষয়গুলো তিনি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম খান। ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং প্রয়াত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।