leadT1ad

মর্গে তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, লাশবাহকের স্বীকারোক্তি

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
ময়মনসিংহ

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৪২
অভিযুক্ত মো. আবু সাঈদ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে এক তরুণীর (২০) মরদেহকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার লাশবাহক মো. আবু সাঈদ (১৯) বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার আবু সাঈদ (১৯) হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ২০ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ঘটনাটি ঘটে। আবু সাঈদ প্রায় তিন বছর ধরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহ আনা-নেওয়ার কাজ কাজ করতেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন ১৯ অক্টোবর হালুয়াঘাট উপজেলার ঘোষবেড় এলাকায় ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশবাহক আবু সাঈদকে সঙ্গে পাঠায়। মর্গে মৃতের স্বজন না থাকায় সুযোগ বুঝে ওই তরুণীর লাশের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় আবু সাঈদ।

পরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হালুয়াঘাট থানা পুলিশকে জানান, মৃতের দেহে তাজা বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, লাশটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত নৃশংস ও অকল্পনীয়।’

পরবর্তী সময়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে হালুয়াঘাট পৌরসভার পাঠাগার মোড় এলাকা থেকে আসামিকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাঈদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান এসআই জামাল মিয়া। ওই মামলায় আসামিকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে সেখানেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবাবনবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত