স্ট্রিম প্রতিবেদক
এক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন ওরফে জনির ওপর নির্যাতন চালানো হয়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জনিকে আটক করার পর তাকে থানাহাজতের পরিবর্তে থানার দ্বিতীয় তলায় রাখা হয় এবং সেখানে বেআইনিভাবে নির্যাতন চালানো হয়। ওই ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি ও জবাবদিহির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছিল। হাইকোর্ট রায়ে এ বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন, নিরপরাধ এক যুবকের জীবন নাশের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ তাদের নৈতিক দায় এড়াতে পারে না। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার অন্যদের সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করেন।
ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে আদালত স্পষ্ট করেছেন, নিরপরাধ একজন যুবকের জীবন রক্ষা এবং অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ তাদের নৈতিক দায় থেকে সরে যেতে পারে না। এই ঘটনায় জনিসহ চারজনকে হেফাজতে নিয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল। আদালত মন্তব্য করেছেন, পুলিশ বিভাগ বা সরকার ভুক্তভোগী জনির বিধবা মা, বিধবা স্ত্রী ও দুই সন্তানের পুনর্বাসনের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং নিতে হবে।
মামলাটি ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের অধীনে দায়ের করা প্রথম মামলা। ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করে নিহত ইশতিয়াক হোসেনের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন।
এ মামলায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ। ওই আদালত পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন। অপরদিকে পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদুর রহমান, রাশেদুল হাসান ও রাসেল তিন আসামি ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০২১ সালে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত ৯ জুলাই থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়। ৭ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। ১০ আগস্ট রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত, যা আজ শেষ হয়।
হাইকোর্টের রায়ে রাজধানীর পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পল্লবী থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানের সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ডে পরিণত করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে, জনির মায়ের পক্ষে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার এক পর্যায়ে হাইকোর্ট জানায়, সাধারণত এমন ঘটনা বিরল হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষ করে বৃহৎ অপরাধীদের আটক করার সময়, যেমন হাজার কোটি টাকার মাদকের কারবারির ক্ষেত্রে, জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়ায় মৃত্যুও ঘটতে পারে; যা নিজেও একটি গুরুতর অপরাধ। তবে, এখানে মূল মনোভাব থাকে যে আসামি অপরাধী। আর নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করে, আইনগত কারণ ছাড়া থানার হাজতখানা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নেওয়া এবং নির্যাতন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। একজন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে অবশ্যই হাজতখানায় রাখতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তার জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে (জনির) পুলিশ বিভাগ কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি, বরং মিথ্যা মামলা দায়ের করে পরিস্থিতি ঢাকাশোঁকানোর চেষ্টা করেছে।
নথিপত্র, সাক্ষী ও অন্যান্য তথ্যাদি খতিয়ে দেখে আদালত আরও বলেছে, ধারাবাহিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের ফলে জনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল, যেখানে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি এবং জবাবদিহির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছিল—বিশেষ করে এই ঘটনার ক্ষেত্রে। পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে জনি এবং তার ভাই রকিসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের বেআইনি ও অযাচিতভাবে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার কোনো পূর্ব ইতিহাস ছিল না। তাদের থানার হাজতখানার পরিবর্তে থানার দ্বিতীয় তলায় রাখা হয় এবং সেখানে নির্যাতন চালানো হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক। এই নিষ্ঠুর নির্যাতন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার চোখের সামনেই সংঘটিত হয়। ঘটনার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভুক্তভোগীদের হাসপাতালে নেয়া হয়। কোড-বিধি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এ ঘটনা সংঘটিত হলেও কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়নি। এরপরও সকালে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে ভুক্তভোগীর (জনির) আহত হয়ে মারা যাওয়ার কারণ দুই পক্ষের মারামারি উল্লেখ করা হয়—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আসল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টাই এটি।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মো. সরওয়ার আহমেদ, আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। বাদীপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম। রায় ঘোষণার দুই দিন পুরো সময় বাদী, নিহত ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার বলেন, আসামি রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তিযুক্ত নয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন ওরফে জনির ওপর নির্যাতন চালানো হয়, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জনিকে আটক করার পর তাকে থানাহাজতের পরিবর্তে থানার দ্বিতীয় তলায় রাখা হয় এবং সেখানে বেআইনিভাবে নির্যাতন চালানো হয়। ওই ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি ও জবাবদিহির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছিল। হাইকোর্ট রায়ে এ বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন, নিরপরাধ এক যুবকের জীবন নাশের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ তাদের নৈতিক দায় এড়াতে পারে না। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার অন্যদের সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার আপিলের রায় ঘোষণা করেন।
ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা এবং প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে আদালত স্পষ্ট করেছেন, নিরপরাধ একজন যুবকের জীবন রক্ষা এবং অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ তাদের নৈতিক দায় থেকে সরে যেতে পারে না। এই ঘটনায় জনিসহ চারজনকে হেফাজতে নিয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল। আদালত মন্তব্য করেছেন, পুলিশ বিভাগ বা সরকার ভুক্তভোগী জনির বিধবা মা, বিধবা স্ত্রী ও দুই সন্তানের পুনর্বাসনের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং নিতে হবে।
মামলাটি ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের অধীনে দায়ের করা প্রথম মামলা। ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করে নিহত ইশতিয়াক হোসেনের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন।
এ মামলায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ। ওই আদালত পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানসহ পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন। অপরদিকে পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেল সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদুর রহমান, রাশেদুল হাসান ও রাসেল তিন আসামি ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০২১ সালে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত ৯ জুলাই থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়। ৭ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। ১০ আগস্ট রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত, যা আজ শেষ হয়।
হাইকোর্টের রায়ে রাজধানীর পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পল্লবী থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানের সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ডে পরিণত করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে, জনির মায়ের পক্ষে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার এক পর্যায়ে হাইকোর্ট জানায়, সাধারণত এমন ঘটনা বিরল হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষ করে বৃহৎ অপরাধীদের আটক করার সময়, যেমন হাজার কোটি টাকার মাদকের কারবারির ক্ষেত্রে, জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়ায় মৃত্যুও ঘটতে পারে; যা নিজেও একটি গুরুতর অপরাধ। তবে, এখানে মূল মনোভাব থাকে যে আসামি অপরাধী। আর নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করে, আইনগত কারণ ছাড়া থানার হাজতখানা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নেওয়া এবং নির্যাতন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। একজন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে অবশ্যই হাজতখানায় রাখতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তার জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে (জনির) পুলিশ বিভাগ কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি, বরং মিথ্যা মামলা দায়ের করে পরিস্থিতি ঢাকাশোঁকানোর চেষ্টা করেছে।
নথিপত্র, সাক্ষী ও অন্যান্য তথ্যাদি খতিয়ে দেখে আদালত আরও বলেছে, ধারাবাহিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের ফলে জনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল, যেখানে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান, তদারকি এবং জবাবদিহির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছিল—বিশেষ করে এই ঘটনার ক্ষেত্রে। পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে জনি এবং তার ভাই রকিসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের বেআইনি ও অযাচিতভাবে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার কোনো পূর্ব ইতিহাস ছিল না। তাদের থানার হাজতখানার পরিবর্তে থানার দ্বিতীয় তলায় রাখা হয় এবং সেখানে নির্যাতন চালানো হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক। এই নিষ্ঠুর নির্যাতন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার চোখের সামনেই সংঘটিত হয়। ঘটনার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভুক্তভোগীদের হাসপাতালে নেয়া হয়। কোড-বিধি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এ ঘটনা সংঘটিত হলেও কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়নি। এরপরও সকালে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে ভুক্তভোগীর (জনির) আহত হয়ে মারা যাওয়ার কারণ দুই পক্ষের মারামারি উল্লেখ করা হয়—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আসল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টাই এটি।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মো. সরওয়ার আহমেদ, আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। বাদীপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম। রায় ঘোষণার দুই দিন পুরো সময় বাদী, নিহত ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার বলেন, আসামি রাসেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তিযুক্ত নয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিলেটে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম গন্তব্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ‘সাদাপাথর’ এলাকা। ধলাই নদীর উৎসমুখে ভারত থেকে নেমে আসা পাথররাজির স্তূপ থেকে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পর্যটনকেন্দ্রটিতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণা ঘটে। সম্প্রতি সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট শুরু হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া ৬০ জন ছাত্রনেতা রবিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেমাদকের কারবার ঘিরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন শাহ আলম (২০) নামের একজন।
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন কমার প্রবণতা থাকলেও দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
৭ ঘণ্টা আগে