leadT1ad

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণায় সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আনন্দ মিছিল বের করে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ২০-২৫ জনের একটি দল সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বাড়িটিতে তাঁর কোনো স্বজন বসবাস করতেন না।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জ

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৭
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর। সংগৃহীত ছবি

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা তাঁর বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালা, আসবাবসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে।

গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির একটি আনন্দ মিছিল থেকে যাওয়া লোকজন উপজেলার কামালপুর গ্রামে আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বাড়িটিতে তাঁর কোনো স্বজন উপস্থিত না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির হামলার তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, রায় ঘোষণার পর সন্ধ্যায় মিঠামইন উপজেলা বিএনপির ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি মিঠামইন বাজার থেকে কামালপুর গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় মিছিল থেকে ২০-২৫ জনের একটি দল সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।

ঘটনার পর ওই স্থানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের তথ্য জানিয়ে মিঠামইন থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, বিএনপির একটি আনন্দ মিছিল থেকে আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে— এমন খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। হামলায় বসতঘরের আসবাব, দরজা-জানালা ও কয়েকটি ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

কামালপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ গেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকার বাড়ির পাশাপাশি গ্রামের এই পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন। সেই সময় আগে বাড়িটিতে তাঁর বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকসহ অন্যান্য সন্তানও বসবাস করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাড়িটিতে তাঁর কোনো স্বজন বসবাস করেন না।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত