leadT1ad

শেখ হাসিনার রায়ে জাবিতে শিবিরের স্বাগত মিছিল

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ২৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিল। স্ট্রিম ছবি

গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ফাঁসির ঐতহাসিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাগত মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মহুয়া চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে সংগঠনটি।

মিছিলে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীও। এসময় তাদের ‘মুজিব থেকে হাসিনা, স্বৈরাচার মানি না‘; ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর’; ‘আওয়ামী লীগের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মিছিলটি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও ১০ নং ছাত্র হল (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল) সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক এবং জাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র জনতার এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের ছাত্রজনতা সেই পলাতক খুনি দাগী আসামি রক্তপিপাসুর রক্ত দিয়ে যে গোসল করতে পছন্দ করে, সেই শেখ হাসিনার আজ ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই রায়ের সঙ্গে রায়ের সংবাদে শুধু আনন্দিত বলছি না, আমরা চাই এই রায় তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে বাস্তবায়ন করা হোক।’

‘একইসঙ্গে জানাচ্ছি ভবিষ্যতে যেন কোনো দল স্বৈরাচার আওয়ামী স্টাইলে যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে না পারে এবং বাংলাদেশে যেন সেই বাংলাদেশের মানুষকে জুলুমের শিকার করতে না পারে সেই আহ্বান জানাই এবং সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য আহ্বান জানাই’, বলেন শিবিরের এই নেতা।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আজ পলাতক খুনি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। এটার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যারা ভাই হারিয়েছেন, পিতা হারিয়েছেন, স্বামী হারিয়েছেন সেই স্বজনহারা পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটা আজ আমাদের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চূড়ান্ত বিজয় আসবে না। আমরা খুনি হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে তার অপবিত্র রক্ত মারিয়ে এসে যখন আজকের মত এমন মিছিল করতে পারব, তখনই বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয় অর্জিত হবে।’

তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। খুনি হাসিনার এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যবাদী দাদাগিরির কবর রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। সেটার প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে, সর্বপ্রথম খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’

সমাবেশ থেকে গতবছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী শিক্ষকদেরও বিচারের দাবি জানান মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের বিচার করা না হয়, ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যারা নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদগুলোতে বসে আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ১৭ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাবি শাখা। কমিটি ঘোষণার পর আজ প্রথমবারের মত নিজস্ব ব্যানারে মিছিল করেছে সংগঠনটি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত