স্ট্রিম সংবাদদাতা

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের মানুষ। তারা সাজিদের মৃত্যুর জন্য গর্ত খননকারী কছির উদ্দিনকে দায়ী করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন।
এ দিকে শুক্রবার শিশু সাজিদের (২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামের মাঠেই জানাজা শেষে এলাকার গোরস্থানে মরদেহ সমাহিত করা হয়। সাজিদের জানাজায় দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এসে অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার বাড়ির পাশের ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যান সাজিদ। তাকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে ৩১ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের সেই সরু গর্ত থেকে শিশুটিকে ওপরে তোলেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসকরা জানান, সাজিদ আর নেই।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাজিদের মরদেহ কোয়েলহাট পূর্বপাড়ায় পৌঁছালে হৃদয়বিদারক এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছোট্ট ছেলেটিকে শেষবার দেখে নিতে গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হন। সাজিদের মা রুনা খাতুন আর্তনাদ করতে করতে বলতে থাকেন, ‘আব্বু, একবার মা বলে ডাকো।’ বাবা রাকিবুল ইসলাম সান্ত্বনা দিয়ে বলছিলেন, ‘ঘুমাচ্ছে রে আমার ছাওয়াল। তোমরা কেউ কাইন্দো না। আমরা ঘুম চাইহ্যা পাই না, আল্লাহ আমার ছাওলেক ঘুম দিছে।’
রাকিবুল ইসলাম এভাবে সান্ত্বতা খুঁজলেও ক্ষুব্ধ গ্রামের শোকাহত মানুষ। তাঁরা বলছেন, গ্রামের বাসিন্দা কছির উদ্দিন পরিত্যক্ত গর্ত ভরাট না করে এভাবে ফেলে রাখায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
রাকিবুলের আত্মীয় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘একজন ব্যক্তির অবহেলায় এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। যিনি এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে শিশু সাজিদ বোরহোলে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন কছির উদ্দিন। তিনি বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি। শিশু সাজিদ যে গর্তটিতে পড়ে গিয়েছিল সেটি অগভীর নলকূপ বসাতে করেছিলেন কছির উদ্দিন। অগভীর নলকূপ বসানোর জন্য তিনি উপজেলা সেচ কমিটির কোনো অনুমোদনও নেননি।
স্থানীয়রা জানান, কছির উদ্দিন আগে বিদেশে ছিলেন। দেশে ফেরার পর পানিব্যবসা শুরু করেন। এলাকায় পাঁচটি সেমিডিপ বসিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে একটি সেমিডিপ চালান মৎস্য খামারের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে। দুটি বিদ্যুতের সংযোগ আছে সেচ নামেই। বাকি দুটি অন্য ব্যক্তির সেমিডিপ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে চালান তিনি।
পানি ব্যবসায় ভাল লাভ হওয়ায় প্রায় একবছর আগে শিশু সাজিদদের বাড়ির পাশে নিজের জমিতে তিনি আরেকটি সেমিডিপ বসানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য পর পর তিনটি স্থানে তিনি মিস্ত্রিদের দিয়ে বোরহোল করান। কিন্তু ৯০ ফুটের পর সেখানে পানি পাওয়া যায়নি। বরং, বোরহোলের পাইপ দিয়ে পাথর উঠে আসছিল। তাই এখানে আর সেমিডিপ বসানো হয়নি।
তারপর সামান্য খড়কুটা ও মাটি দিয়ে বোরহোলের মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তুমুল বৃষ্টিপাতে এলাকাটি তলিয়ে যায়। তখন বোরহোলের মুখের মাটি ও খড় পানির সঙ্গে নিচে নেমে যায়। আর বোরহোলের মুখ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। গত বুধবার এই সরু গর্তে পা দিতেই নিচে ঢুকে যায় শিশু সাজিদ।
নিহত সাজিদের মা রুনা খাতুন বলেন, কছির উদ্দিন তিন জায়গা বোরিং (বোরহোল) করে ফেলে রেখেছিল। তার কারণে আমার সাজিদ মারা গেল। আমি কছির উদ্দিনের শাস্তি চাই।
কছিরের শাস্তি দাবি করেছেন নিহত সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শুধু তার অবহেলার জন্য আমার একটা কলিজা আমি হারিয়ে ফেললাম। প্রশাসন সবই দেখেছে। আমি তাদের কাছে একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সকালে সাজিদের বাড়ি গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান। তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা, কিছু শুকনো খাবার ও কম্বল দেন।
এ সময় ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবার অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। অভিযোগ না করলেও আইনি যেটুকু করণীয় আছে, তা আমরা শুরু করেছি।’
কছির উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী। তার ভাই আব্দুল করিম জামায়াতে ইসলামীর পাঁচন্দর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি টিম সদস্য। কছির উদ্দিন বাড়িতে না থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর তানোর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কছির উদ্দিনের ভাই আব্দুল করিম আমাদের ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি। সে সূত্রে কছিরকে কেউ জামায়াতের কর্মী বলতে পারেন। আসলে জামায়াতে তার কোনো পদ-পদবী নেই।’

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের মানুষ। তারা সাজিদের মৃত্যুর জন্য গর্ত খননকারী কছির উদ্দিনকে দায়ী করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন।
এ দিকে শুক্রবার শিশু সাজিদের (২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামের মাঠেই জানাজা শেষে এলাকার গোরস্থানে মরদেহ সমাহিত করা হয়। সাজিদের জানাজায় দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এসে অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার বাড়ির পাশের ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যান সাজিদ। তাকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে ৩১ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের সেই সরু গর্ত থেকে শিশুটিকে ওপরে তোলেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসকরা জানান, সাজিদ আর নেই।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাজিদের মরদেহ কোয়েলহাট পূর্বপাড়ায় পৌঁছালে হৃদয়বিদারক এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছোট্ট ছেলেটিকে শেষবার দেখে নিতে গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হন। সাজিদের মা রুনা খাতুন আর্তনাদ করতে করতে বলতে থাকেন, ‘আব্বু, একবার মা বলে ডাকো।’ বাবা রাকিবুল ইসলাম সান্ত্বনা দিয়ে বলছিলেন, ‘ঘুমাচ্ছে রে আমার ছাওয়াল। তোমরা কেউ কাইন্দো না। আমরা ঘুম চাইহ্যা পাই না, আল্লাহ আমার ছাওলেক ঘুম দিছে।’
রাকিবুল ইসলাম এভাবে সান্ত্বতা খুঁজলেও ক্ষুব্ধ গ্রামের শোকাহত মানুষ। তাঁরা বলছেন, গ্রামের বাসিন্দা কছির উদ্দিন পরিত্যক্ত গর্ত ভরাট না করে এভাবে ফেলে রাখায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
রাকিবুলের আত্মীয় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘একজন ব্যক্তির অবহেলায় এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। যিনি এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে শিশু সাজিদ বোরহোলে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন কছির উদ্দিন। তিনি বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি। শিশু সাজিদ যে গর্তটিতে পড়ে গিয়েছিল সেটি অগভীর নলকূপ বসাতে করেছিলেন কছির উদ্দিন। অগভীর নলকূপ বসানোর জন্য তিনি উপজেলা সেচ কমিটির কোনো অনুমোদনও নেননি।
স্থানীয়রা জানান, কছির উদ্দিন আগে বিদেশে ছিলেন। দেশে ফেরার পর পানিব্যবসা শুরু করেন। এলাকায় পাঁচটি সেমিডিপ বসিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে একটি সেমিডিপ চালান মৎস্য খামারের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে। দুটি বিদ্যুতের সংযোগ আছে সেচ নামেই। বাকি দুটি অন্য ব্যক্তির সেমিডিপ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে চালান তিনি।
পানি ব্যবসায় ভাল লাভ হওয়ায় প্রায় একবছর আগে শিশু সাজিদদের বাড়ির পাশে নিজের জমিতে তিনি আরেকটি সেমিডিপ বসানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য পর পর তিনটি স্থানে তিনি মিস্ত্রিদের দিয়ে বোরহোল করান। কিন্তু ৯০ ফুটের পর সেখানে পানি পাওয়া যায়নি। বরং, বোরহোলের পাইপ দিয়ে পাথর উঠে আসছিল। তাই এখানে আর সেমিডিপ বসানো হয়নি।
তারপর সামান্য খড়কুটা ও মাটি দিয়ে বোরহোলের মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তুমুল বৃষ্টিপাতে এলাকাটি তলিয়ে যায়। তখন বোরহোলের মুখের মাটি ও খড় পানির সঙ্গে নিচে নেমে যায়। আর বোরহোলের মুখ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। গত বুধবার এই সরু গর্তে পা দিতেই নিচে ঢুকে যায় শিশু সাজিদ।
নিহত সাজিদের মা রুনা খাতুন বলেন, কছির উদ্দিন তিন জায়গা বোরিং (বোরহোল) করে ফেলে রেখেছিল। তার কারণে আমার সাজিদ মারা গেল। আমি কছির উদ্দিনের শাস্তি চাই।
কছিরের শাস্তি দাবি করেছেন নিহত সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শুধু তার অবহেলার জন্য আমার একটা কলিজা আমি হারিয়ে ফেললাম। প্রশাসন সবই দেখেছে। আমি তাদের কাছে একটা সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সকালে সাজিদের বাড়ি গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান। তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা, কিছু শুকনো খাবার ও কম্বল দেন।
এ সময় ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবার অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। অভিযোগ না করলেও আইনি যেটুকু করণীয় আছে, তা আমরা শুরু করেছি।’
কছির উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী। তার ভাই আব্দুল করিম জামায়াতে ইসলামীর পাঁচন্দর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি টিম সদস্য। কছির উদ্দিন বাড়িতে না থাকার কারণে তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর তানোর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কছির উদ্দিনের ভাই আব্দুল করিম আমাদের ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি। সে সূত্রে কছিরকে কেউ জামায়াতের কর্মী বলতে পারেন। আসলে জামায়াতে তার কোনো পদ-পদবী নেই।’

হামলার মাত্র কয়েক দিন আগেও বহু দেশি-বিদেশি নম্বর থেকে মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী। এই হামলা দেশের উত্তাল নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে নতুন করে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে।
১১ মিনিট আগে
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি-বিধিমালা’ প্রণয়ন না করায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা। আজ শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে মেট্রোরেল চলার কথা থাকলেও বন্ধ আছে।
৩০ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীকে গুলির ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তি আজ (শুক্রবার) দুপুরে মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা (জামিআ দারুল উলুম মতিঝিল) এলাকায় হাদির সঙ্গেই মাস্ক পরা অবস্থায় জনসংযোগে অংশ নিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে