leadT1ad

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কক্সবাজারে অংশীজন সংলাপ শুরু আজ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
কক্সবাজার
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কক্সবাজারে অংশীজন সংলাপ। সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনব্যাপী অংশীজন সংলাপ আজ রবিবার কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল সোমবার এ সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। নিউইয়র্কে আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করতে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ওপর উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপ্তি’ শিরোনামে আগামী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত এ সংলাপ চলবে। উচ্চ প্রতিনিধির কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংলাপে দেশ-বিদেশের কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবেন।

আয়োজকেরা জানান, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পুরুষ, নারী ও যুবকদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনার ওপর জোর দেওয়া হবে, যেন আন্তর্জাতিক মহল তাদের আকাঙ্ক্ষা, অভিযোগ ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাগুলো সরাসরি জানতে পারে।

সংলাপে বিষয়ভিত্তিক পাঁচটি অধিবেশন থাকবে। সেগুলো হলো—মানবিক সহায়তা ও তহবিলের চ্যালেঞ্জ, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান উন্নয়ন, প্রত্যাবাসনের জন্য আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা, নৃশংসতার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি, টেকসই ও সময়াবদ্ধ সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের আগে কার্যকর সুপারিশ প্রণয়নে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের সম্মেলনটি ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংলাপের লক্ষ্য হলো—নিউইয়র্কে আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের জন্য সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর সুপারিশ প্রণয়ন করা। ওই সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের চলমান দুর্দশা সমাধানের ওপর আলোকপাত করা হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার আট বছর পর এবং মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল হ্রাসের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারে এই অংশীজন সংলাপ বিশেষভাবে সময়োপযোগী।

এর আগে, বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—নিরবচ্ছিন্ন বৈদেশিক সাহায্য অব্যাহত রাখা, আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট দৃশ্যমান রাখা এবং রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবর্তনকে সহজ করা।

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমরা এটিকে আলোচনায় নিয়ে আসার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’দীর্ঘস্থায়ী সংকট থেকে মানবিক, উন্নয়নমূলক ও নিরাপদ উত্তরণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

আসন্ন নিউইয়র্ক সম্মেলন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শরণার্থী সংকটের ব্যাপারে ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত