leadT1ad

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

ফেনীতে বাঁধ নির্মাণের ৭ হাজার ৩৪০ কোটির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। কমছে শুরু করেছে বানের পানি। উত্তরে দুই উপজেলা ফুলগাজী ও পরশুরামে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন

স্ট্রিম প্রতিবেদকফেনী
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০২
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০৬

ফেনীতে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। মহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের ৭ হাজার ৩৪০ কোটির প্রকল্পটি সেনাবাহিনীকে দিয়ে বাস্তবায়ন করার কথা ভাবছে সরকার।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘এটি কোনো ছোটোখাটো কাজ নয়, অনেক বড় প্রকল্প। সুতরাং এটির জন্য কারিগরি দক্ষতা থেকে শুরু করে আয়োজন-উদ্যোগ সব কিছুই ১ নম্বর হতে হবে। কারণ, বারবার এত বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করা যাবে না।‘

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সরকারের কিছু করার নেই, তবে দুর্যোগপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। ফেনীর মুহুরী নদীর বন্যার সমস্যার সমাধানের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি অনেক বড় প্রকল্প, দু-এক দিনের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব হবে না। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ফেনীর ফুলগাজী আলী আজম উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ।

এর আগে, বানভাসি মানুষদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন পানিবন্দি থাকা অবস্থায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়াসহ স্থানীয় প্রশাসনের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করেন।

পরে উপদেষ্টা ফুলগাজীর মুন্সিরহাটে আজমিরি বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ও দক্ষিণ শ্রীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় মুহুরী নদীর ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ফেনী সার্কিট হাউসে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। কমছে শুরু করেছে বানের পানি। উত্তরে দুই উপজেলা ফুলগাজী ও পরশুরামে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা। অপর দিকে ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানিবন্দি ৩০ গ্রামের ৪০ হাজারের মতো মানুষ।

প্রাথমিক হিসেবে বন্যায় ১ হাজারেরও বেশি মাছের ঘের ও পুকুর এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় এখন পর্যন্ত পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোতেও ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট।

বিষয়:

Ad 300x250

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ফিরে দেখা বুয়েটের সেই তিন আন্দোলন

ডিপ্লোমা বনাম বিএসসি: পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দ্বন্দ্ব

‘প্রয়োজন হলে’ সেনা মোতায়েনের কথা বলেছি: ডাকসু চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

রামেকে ১৭ কোটি টাকার ওষুধ এনে দিলেন তরুণ চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ান

সম্পর্কিত