leadT1ad

ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধ: অর্থ উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩৯
সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংগৃহীত ছবি

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ‘ইউ পেনশন’ মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রচলিত আইনেই এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হবে ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। তবে রাজনীতিকেরা যদি অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বা ভোট দেওয়ার সংস্কৃতি চালু রাখেন, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।

এ সময় অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান উপস্থিত ছিলেন।

সালেহউদ্দিন বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে—ঋণখেলাপি কেউ জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় আদালতের স্থগিতাদেশ (স্টে অর্ডার) নিয়ে এ নিয়মের অপব্যবহার হয়। অতীতে মহীউদ্দীন খান আলমগীর ঋণখেলাপি হয়েও পুরো মেয়াদ পার করেছিলেন।’

নির্বাচনে কালোটাকার প্রভাব রোধ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কালোটাকার ক্ষেত্রে দুটি দিক আছে—উৎস ও প্রক্রিয়া। উৎস এখন আগের তুলনায় অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আগে দেখা যেত ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক—সব একজনই। এখন অন্তত কিছুটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স কাজ করছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনও জরুরি।

এ ছাড়া ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপ চালুর মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে ব্যক্তিপর্যায়ে সহজে চাঁদা প্রদান, তথ্য যাচাই, নমিনি পরিবর্তনসহ নানা সেবা গ্রহণ সম্ভব হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। সালেহউদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যয়’ ও ‘সেবক’ কর্মসূচির মতো উদ্যোগগুলোর কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে, তবে এসব কর্মসূচিতে কেন সবাই অংশ নিচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত