leadT1ad

বছরের শুরুতেই বই পাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা, মাধ্যমিকে শঙ্কা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৮
শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই। ফাইল ছবি

আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাথমিকের শতভাগ বই মুদ্রণ ও সরবরাহ সম্পন্ন হলেও দরপত্র জটিলতার কারণে মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ বিলম্বিত হয়েছে। তবে জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) শতভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রায় সাড়ে আট কোটিরও বেশি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও প্রস্তুত করা হয়েছে।

তবে এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের একেবারে শুরুতেই মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষার্থীদের দেওয়া সম্ভব হবে না, যদিও মুদ্রণের কাজ পুরোদমে চলছে। এ বিষয়ে এনসিটিবির সচিব অধ্যাপক মো. সাহতাব উদ্দিন স্ট্রিমকে বলেন, ‘জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে আমরা সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে চাই। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শতভাগ বই মুদ্রণ যাতে নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে শুরুতে শতভাগ বই পাওয়া না গেলেও অধিকাংশ বই শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে।’

এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে এবার প্রায় ৩০ কোটি বই ছাপা হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ বই ছাপার কাজ শুরু হয়েছে নভেম্বরের শুরুতে। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এবার সেপ্টেম্বরেই মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ শুরুর পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রথম দফায় দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ায় এ ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর অভ্যুত্থানের পর পাঠ্যবই ছাপার কাজ ডিসেম্বরে শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে গিয়েছিল। তবে এবার ততটা বিলম্ব হবে না বলে আশা করছে এনসিটিবি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত