leadT1ad

নারীকে প্রকাশ্যে হেনস্তা

ভোলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ পাঁচ আসামি কারাগারে

রোববার প্রকাশ্যে হেনস্তার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির। প্রকাশ্যে হেনস্তার ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এতে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বিএনপি নেতাসহ পাঁচজনকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

স্ট্রিম সংবাদদাতাভোলা
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৭
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। স্ট্রিম ছবি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক নারীকে প্রকাশ্যে চুল কেটে ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে ওই আদেশ দেন বিচারক। দুপুর ২টায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার।

এর আগে ‘পরকীয়ার’ অভিযোগ তুলে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বোরহানউদ্দিনের বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে চুল কেটে ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রকাশ্যে হেনস্তা করা হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি মো. হুমায়ুন কবির বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ওই নারীকে হেনস্তা করা হয়।

গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সংগৃহীত ছবি
গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাসহ পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সংগৃহীত ছবি

কারাগারে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মো. কবির হোসেন (৪৮), ৬ নম্বর আসামি মো. রশিদ (৫৮), ৭ নম্বর আসামি মো. মেহেদী হাসান (২১), ৮ নম্বর আসামি মো. ইসমাইল (২৫) ও ৯ নম্বর আসামি মো. মিরাজ (২৮)। তাঁদের সবার বাড়ি জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটামারা ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার জানান, মামলার পর পরই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বোরহানউদ্দিন থানার একাধিক দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার উল্লিখিত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

নারীকে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে রোববার বাংলা স্ট্রিমসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। অনেকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

দলের নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিএনপির ওই নেতা অতি উৎসাহী হয়ে কাজটি করেছেন। বিএনপি এসব অন্যায় কাজকে সাপোর্ট করে না। তাঁর বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত