leadT1ad

বন্ধ ঘরে ঝুলছিলেন স্বামী, বিছানায় স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ

আশুলিয়া থানার নরসিংহপুরে আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন রুবেল আহমেদ, তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার ও তাঁদের পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান জামিলা আক্তার। রোববার রাতে বন্ধ কক্ষ থেকে তাঁদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্ট্রিম সংবাদদাতা
সাভার, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৪
আত্মহত্যার প্রতীকী ছবি। স্ট্রিম গ্রাফিক

ঢাকার সাভারে একটি ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ। পাশে বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী আর শিশু সন্তানের মরদেহ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আশুলিয়া থানার নরসিংহপুরে একটি ভাড়া বাসার বন্ধ একই পরিবারের ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নরসিংহপুরের হা-মীম পোশাক কারখানার তিন নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকার আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার ধুনট থানার নলডাঙা গ্রামের রুবেল আহমেদ (৩৫), বগুড়ার বড়িতলি এলাকার বাসিন্দা তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার ও তাঁদের পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান জামিলা আক্তার।

রুবেল আহমেদ বর্তমানে বেকার ছিলেন, তবে সোনিয়া একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আশুলিয়া থানা-পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, স্বামী রুবেল তাঁর স্ত্রী সোনিয়া ও সন্তান জামিলাকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে ওই বাড়ির অন্যান্য কক্ষের ভাড়াটিয়ারা কাজে গিয়েছিলেন। বিকেল পাঁচটার দিকে কাজ থেকে ফেরার পর রুবেলদের কক্ষের দরজা-জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন তাঁরা। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। দীর্ঘসময় কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে কৌশলে জানালা খুলে দেখেন ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন রুবেল। এ ছাড়া খাটের ওপরে নিথর পড়ে আছেন সোনিয়া আক্তার ও তাঁর সন্তান জামিলা আক্তার। পরে বিষয়টি তাঁরা আশুলিয়া থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পয়ে রাত ৮টার দিকে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের একটি টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায়, বাকি দুজনের মরদেহ বিছানায় পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাঁদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত